এসেছে শীতের বেলা
-সুপ্রিয়া চক্রবর্ত্তী
অবশেষে শীত এলো বহু অপেক্ষার পরে
ভোরের হৈমন্তী হাওয়া,সূর্য্য টাকে চাওয়া বেশি করে
মাঠে কচি ঘাসে শিশির বিন্দু,শীতের পরশ
শুকনো পাতা ঝরায় মর্মর ধ্বনি, ত্বক খস খস
মন ছুটে যায় বাহির পানে,কুয়াশায় মাঠ ঘোলা
অগ্রহায়ণের সোনালী ধানের ঢেউ এর দোলা
মিষ্টি তাজা খেজুর রসের আস্বাদ,
ঘরে ঘরে হেমন্ত লক্ষ্মী,পৌষ পার্বণের গন্ধ
বাংলার গ্রামের ঘরে ঘরে নবান্ন উৎসব,আনন্দ।
দুউউউউরে কাদের দল বেঁধে আগুন পোহানো
মাঠে শোনা যায় রাখালিয়া বাঁশির সুর,মন মাতানো
ছুটে চলে একপাল কচি মেষ শাবক
ওদের পিছে পিছে ছুটি,,,,,,
বাউল আমার গান ধরেছে একতারা টায়
দীঘির জলে সাদা হাঁসের দল আর শালুখ ফোটায়
মাছরাঙা টুপ করে ডুব দেয় জলে,সকালে
গাছগুলি সব একা, একা,ফাঁকা,,,,,,
পদতলে শুকনো পাতার বিছানা করে রেখেছে
যেনো তুলি দিয়ে ছবিটি আঁকা,,,,,,,
দীঘির ঘাটে স্নান সেরে কাঁপতে কাঁপতে
গ্রামের আল পথে ঘরে চলে গ্রামের বউ
খড় বোঝাই গরুর গাড়ি চলেছে আপন মনে
ঝাঁকা ঝাঁকা সবজি নিয়ে হাটে চলেছে কেউ
শীত এসেছে সবাই দেখি রঙিন শীতের পোশাক
কারুর বা পোশাক ই নেই ,কাঁপছে শীতে ঠক ঠক
অনেক দূরে রেলের লাইন,শুনছি ট্রেনের বাঁশি
শীতের সকাল হাট বাজারে সবজি রাশি রাশি
কুমোর কেমন মাটি দিয়ে গড়ছে থালা বাটি
খেজুর রসে জ্বাল দিয়ে, গুড় হচ্ছে খাঁটি
শীতের লেপ,কম্বল আর শীতের গরম জামা
পাটালি গুড় আর বাদাম চাকতি শুকায় ধামা ধামা
নতুন গুড়ের মোয়া,আর পিঠে পুলির স্বাদে
দুপুর বেলায় কমলা লেবু রোদে বসে ছাতে।