কবিতা তুমি কি…?
-সত্যদেব পতি
যখন আমি ছোট্টো শিশু তোমার আননের ফুল হয়ে খেলা করতাম…
তখন হতেই তোমার সাথে ভাব আড়ি চলতো,
কখনো বিষাদ কখনো খুনসুটি কোনো সময় আকার নিত চরমে-
আবার ভাব করতাম,
তোমার কাছে নিয়ে আসতাম রঙিন স্বপ্নময় শব্দ কোষের মিষ্টতা,
তুমি সানন্দে গ্রহণ করেছো,
আমার শব্দ ভান্ডার সীমিত তোমার অজানা ছিল না…
এভাবেই পার হলো কয়েকটা বছর—
তখন তুমি ষোড়শী পার করে ফুটন্ত অষ্টাদশীর দ্রাঘিমাংশে..
কতো রঙীন স্বপ্নময় বাক্যালঙ্কারে বিভূষিতা সম্পূর্ণা,
তোমার মুখে হাজার সূর্য্য উদ্ভাসিত..
আমি তখন দুর হতে দেখেছি মাত্র,
একবার ছুঁয়ে দেখব বলে কাছে আসতেই—
তোমার বিভূষণ জ্যোতি ঝলসে দিল আমার চোখ,
লিখতে গেলাম নতুন করে….
ভাষাগুলো কোথায় হারিয়ে গেল তোমার রূপের প্লাবনে?
ছই হারিয়ে বেবাক নাবিক-
এখন আমি প্রৌঢ়ত্বর প্রতিকী হয়ে তোমাকে খুঁজে চলেছি…
কতো নামীদামী কবির কলমে তুমি ঝর্ণা হয়ে ঝরে পড়ছো প্রতি পলে,
দেখে হিংসা হয়,,,,
আমি কেন পারি না লিখতে,?
মনের দহন জ্বালা শ্মশান চিতার চেয়ে লেলিহান,
আমার প্রেমের কাণ্ডারী হয়ে আসোনি কোনো দিনও
লেখার কালিতে শুধুই জমাটি অমাবস্যা;
আমার ফাগুন বেলায় চৈত্রের ঝরা পাতার শব্দ…
অহরহ বৈশাখী ঝঞ্জার তুমুল তান্ডব…
শ্রাবণী মেঘ এসে বিধৌত করে আমার মনের খাতায় লেখা সমস্ত ছন্নছাড়া অক্ষরগুলো,
তুমি তো আসো নি তবু ভরা ভাদরের টইটম্বুর নদীর মতো অনেক শব্দ মালার উপহার নিয়ে.?
তুমি কি তোমার ভালোবাসা কণা মাত্র দিতে পারো না আমাকে?
আমি কি এতোটাই অপাঙতেয় এই সমাজের?
এতটাই বেমানান আমার উপস্থিতি?
নাকি তুমি অন্য কিছু?
বলোনা কবিতা তুমি কি?