একটি নদীর নাম

একটি নদীর নাম

-কাজল দাস 

 

 

হঠাৎ-ই, একদিন তুমি আসবে!
যখন আমি একচল্লিশ বছরের অনুতাপের রোদে-
নাক ডুবিয়ে পোড়া অতীতের ঘ্রাণ খুঁজছি।
ঠিক সেই মুহূর্তে-
তুমি আসবে,
একটা একটা করে একচল্লিশটা দরজা খুলে
অবশেষে বলবে-
“কয়দিন থাকতে এলাম তোর কাছে”

এলে?
এতো দেরি কেন তবে?
দেখ, অঙ্ক কষতে কষতে আমার হাতে শূন্য বাদে
আর কিছুই নেই।

তৎক্ষণাৎ তুমি হাসতে হাসতে বলবে-
“বোকা ছেলে-
আমার বুঝি আর কোনো কাজ নেই,
সাদা জামাটার বুক পকেটে এতো অন্ধকার
জমিয়ে রেখেছিস কেন?
এখন বুঝি কবিতা বাদ দিয়ে ধূসর শব্দের ইতিহাস লিখতে ভালো লাগে?”

ওসব ছাড়,
নদীটার নাম কি রেখেছ?
যে নদীতে ভেসে যেতে যেতে বলেছিলে-
“সময় মত খেয়ে নিস, বাবা”
খুব রাগ হয় বুঝলে!
আমি এখন আর আগের মত নেই।
তুমি আমায় নিমপাতা দিয়ে ভাত মেখে দাও,
দেখ, তোমার ছেলে কত ভালো হয়ে গেছে।

তোমার একটু পায়ের কাছে বসি,
এখন তো আর সেভাবে তোমাকে পাইনে।
জ্বরে আমার গা পুড়ে যাচ্ছে,
কপালে হাতটা রাখ,
এতো কি কাজ তোমার বল’তো-
জ্বরে আমার গা পুড়ে যায়।
তিনশো ত্রিশ কোটি অভিমান
জট পাকিয়ে আছে,
একে একে সব খুলে দেব আজ
তোমার পায়ের কাছে।
আগে বল-
নদীটার নাম কি রেখেছ?

Loading

Leave A Comment