নিশী তৃষ্ণা
-সত্য দেব পতি
হেমন্তের নিঝুম রাতের গভীরে শিশিরের শব্দ শুনেছি…
হৃদয়ের গভীরে তোমার গোপন অভিসার
জানলার কাঁচে শিশিরের পরত।
তোমার চাওয়া আলোয় আমার উঠোনে দ্বিতীয়ার জোছনা,
ব্যাকুল করা বিশ্বাসের বাতাসে তোমার নুপুরের রুনুঝুনু শব্দ…
কূলহীন জীবনের চোরা স্রোতে প্রবহমান যন্ত্রণা ।
স্মৃতির পাতার ভাঁজে শুকনো নিস্তেজ গোলাপ,
এলোমেলো সাজিয়ে রাখা ঘুটি জীবনের খেলা ঘরে – – –
নিশ্চল ছায়াবৃত মন একান্ত হয়ে অবিচল।
আমি আজ ক্লান্তি ময় জীবনে তোমাকে চাই নির্জনে,
অবসন্ন দেহ মন তবুও কনো অভিযোগ নেই তোমার কাছে – – –
গভীর রাতে আমি বড্ড একলা অনুভব করি কারন তুমি আমার পাশে নেই,
দুচোখের সামনে তোমাকে দেখতে পাই স্বপ্নীল কুয়াশার ঘন আবরনে।
অভিমানী মনে বিষাদের শুরের মুর্ছনায় আশাবরী রাগিনী,
ভৈরবী শুরে শুকিয়ে যায় ভোরের শিশির – – –
তৃষ্ণার্থ হয় মন জৈষ্ঠ্যৈর রাতের মতো।
দুচোখের শ্রাবণী ধারা সিক্ত করে মনের তটভুমি
তবুও সবকিছুর উপেক্ষা করে রয়ে যায় তোমাকে না পাওয়ার নিশী তৃষ্ণা!