গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব
-নৃপেন্দ্রনাথ মহন্ত
বৃন্দাবন খুড়োর বয়স চারকুড়ি পেরোয়নি এখনো
খুব বেশি পাকও ধরেনি তার চুলে
যদিও পুরোপুরি দন্তহীন–ফোকলা যাকে বলে।
তার প্রিয় খাদ্য –ভিজে নয়,ভাজা নয়,
আস্ত গোটা চিড়ে।
আমি জানতে চাই,”খুড়ো,এটা সম্ভব কী করে?”
“ওরে,চিড়েরা নিজেরাই চ্যাপ্টা হয়ে থাকে
আর আমাদের মুখে আছে এক শক্তি বৈনাশিক
যা সবকিছু গ্রাস করে থাকে।”
খুড়োর এসব ঘোলাটে কথার মানে বুঝি না সঠিক।
বোঝার চেষ্টাও করি নে
বন্যার ঘোলাজলে হারানো আংটির খোঁজে
কে আর নদীতে নামে?
তাই বলি,”খুড়ো,হেঁয়ালি ছাড়ো,
গোদা বাংলায় উত্তর ঝাড়ো।”
“কী অর্বাচীন তোরা! ‘খুড়ো ঝেড়ে কাশে,
“আমি শুধু চিড়েদের ফেলে দেই মুখের গহ্বরে
তারপর যা করার চিড়েরাই করে,
পরস্পর গুঁতোগুঁতি করে ওরা মরে
আমি শুধু গিলি অবশেষে।”