স্বপ্ন ভেঙে যাবার সাতকাহন
-সত্যেন্দ্রনাথ পাইন
প্রায়শই মনে আসে স্বপ্ন দেখার স্বপ্নগুলো– সাতকাহন শোনাবে কীভাবে? ভাবনাটা কেমন যেন খেই হারিয়ে ফেলে। আসল সত্যিগুলো স্বপ্নেই রয়ে যায়। মনের ভিতরে, ভাবনার অতলগর্ভে বিকট ঘন অন্ধকার! কে আছে ওখানে? স্বপ্ন ভাঙ্গার গল্প! আর্তনাদ! অস্বীকার! কিছুই বোঝা যায় না।
আজকের প্রজন্মের পুত্র সন্তানেরা ভাবতেই বেসামাল— স্বপ্ন ভাঙ্গার মজলিসে। তবু ঘটনা পরম্পরায় সেটাই কাপড়েচোপড়ে হবার মত অবস্থায়। সদ্য গ্র্যাজুয়েট হওয়া ছেলেকে আর না পড়িয়ে পয়সা রোজগারের মেশিন বানানো– তার মেধাকে উপেক্ষা করা।
মেয়েকে তাড়াতাড়ি বিয়ে দেয়া তার স্বপ্ন ভাঙ্গার ইতিবৃত্ত। মা ও মেয়ে যেভাবেই কথা বিলি করিনা কেন ক্যালসিয়াম, আয়রণ, ফলিক এ্যসিড দিয়ে যত্ন- বেলুন চুপসে যাবেই। দেখে শুনে নারীদের স্ট্রেস বাড়ে বই কমে কি??
মোমবাতি জ্বলতে জ্বলতে শেষ হয়— গলা মোম নিচে জড়ো হয়। ধূপ পুড়তে পুড়তে ছাই হয়-মেয়েরাও যেমন সংসারএর নুন- ঝালমসলা, কাপড় চোপড় এর হিসেব রাখতে রাখতেই শেষ। কলেজ ফি জমা দেয়ার মত নিত্যদিন মুখঝামটা আর উপেক্ষার শিডিউল তার ভাগ্যে।
নালিশ করবে কাকে? নালিশটা যেন তার ন্যাকামি! ভালোবাসা, আদর প্রেসার মাপার যন্ত্রের লো- প্রেসার, কিং বা ফুচকার মত সহজেই চুপসে থুবড়ে মসলা আর টকজলেই আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হয়। বিবাহিত স্বামী পুরুষটি যেন ট্যুরিস্ট দলের একজন অন্যতম প্রধান সদস্য। মেয়েটিই হয় দায়ী নিখুঁত বিনি পয়সার হাউজহোল্ড কর্মচারী। স্বপ্নভেঙে সাতকাহন গল্প রচিত হয়।