বিকাল করে আড়ি
-অযান্ত্রিক
চাহিদা যখন ব্যাকুল তখন অনেক দূরে ঘর,
ওপাশ ফিরে শুয়ে শুয়ে কেঁদে উঠলো স্বর।
“সকাল গুলো,মুখ দেখে না বিকাল করে আড়ি”,
অতৃপ্তির মোহর গুনে রোজ বসতি ছাড়ি।
পিত্তলী মুখ ভাবনা অসুখ ,ধুলোর মতো ছোটে,
বহুদিন তো ঠোঁট পরেনা, তৃষ্ণার্ত দুই ঠোঁটে।
ঘরেতে তার তাপ প্রবাহ ,মাথার কাছে খোলা,
সংসারী সুর কণ্ঠেতে তার নিয়ত হরবোলা।
মেঘ ছলছল ঢুলছে চোখে শীত জমানো ভয়,
বুকের কানাচ দেয়াল জুড়ে প্রেমের নামে ক্ষয়।
থাকবো বেঁচে থাকবো সুখে কাজটা কঠিন ভারী,
“সকাল তার মুখ দেখে না বিকাল করে আড়ি।”
টুকরো, টুকরো নামছে আকাশ নিচুর থেকে নিচু,
মুখ ঢেকে দেয় সংসারী মেঘ বলতে পারেনা কিছু।
মস্তবড় ঘুন সীমানা চাহিদা দিলে ডুব,
থাকবো বেঁচে থাকবো সুখে কাজটা কঠিন খুব।
মুচড়ে দিলে ,উপরে দিলে, হামলে পরে পায়,
অমান্য করা লোকলজ্জা বিবিধ অন্যায়।
ইচ্ছে গুলো ঘুমিয়ে থাকে জাগে না সরাসরি,
“সকাল তার মুখ দেখে না বিকাল করে আড়ি”