হঠাৎ দেখা
– অঞ্জনা গোড়িয়া
গোলাপী রং এর শাড়িতে প্রথম দেখেছি,
চুল গুলো উস্কো খুস্কো,বিচ্ছিন্ন ভাবে ছড়ানো।
মুখখানি রৌদে রাঙা, কৌতূহলী চোখদুটি
কাকে যেন খুঁজছে, কেবলএদিক ওদিক তাকান
মাঝে মাঝে দাঁতে চেপে ধরেছে নরম ঠোঁট দুটি,
দুহাতের আঙুল মুটকে সময় গুনছিলে,
হয়তো কোন বিশেষ জনের অপেক্ষাতে,
ছটপট করছিলে রোদের দুপূরে সেদিন।
আমি দূর থেকে অপলক দৃষ্টিতে বিরামহীন।
তুমি আনমনা হলেও আমার লাগছিল বেশ,
জানতে ইচ্ছা হলো,কোথায় তোমার দেশ?
বলতে পারিনি কিছুই?তোমার কি এত উৎবেগ?
ছটপট করছিলাম ভেতরে ভেতরে,মনের অজান্তে
যদি করতে পারতাম তোমার জন্য ,যৎসামান্য
ধন্য হতাম,বুঝতে পারি নি কখন হলে অদৃশ্য?
আজও ঐ সময়ে দাঁড়িয়ে থাকি ,যদি তুমি আসো,
জানতে ভুল হবে না এবার,তুমি কাউকে কি ভালোবাসো?
একদিন সকালে বাসে চেপে চলেছি অফিস পাড়ায়
পাশের সিট টা খালি ই ছিল, একে বারে বসলে পাশেই।
কি অপরূপ লাগছে আজ ,মুখে এলো না কোন ভাষা,
ভাবলাম স্বপ্ন দেখছি নাতো ,মিটল কি সকল আশা।
কিন্তু একি তাঁর রূপ সজ্জা !হঠাৎ নজরে পড়ল কপালে —
বড় করে টিপ পড়া আর রাঙা সিঁদুরে ভরা সিঁথিতে।
পরনে লাল টুকটুকে শাড়ি,শাখা পলা দু হাতে যে।
মনে একটু ঝড় উঠল,সামলে নিলাম নিজেকে,
অনিন্দ পাশ থেকে বললে,এটা আমার বউ রে।
কেমন মানিয়েছে বল দেখি?যার কথা বলতাম তোকে,
আমার বাল্য বন্ধু, ওর আজ বেশ খুশি খুশি মুখ ,
অতি কষ্টে স্বহাস্যে বললাম, বেশ তো এক আকাশ সুখ ।
নেমে গেল পরের স্টপেজে,ও একপলক তাকাল,
তাতে ই ধন্য,শান্তনা দিলাম নিজেকে এই হয়েছে ভালো।