মিতি
– পারমিতা ভট্টাচার্য
আমি ‘মিতি’ ,
আমি পথ হাঁটি একা একা
পথের সীমানায় রাখি চোখ,
ঝলসানো মন, রোখা – চোখা মুখ
পাথরে বাঁধানো কঠিন আমার বুক….
গভীর দুঃসময় আজ পৃথিবীর
তাই বেরিয়ে আসে ক্ষুরধার নখ….
পথের ধারে ধুলো মাখা শিশুটিও জানে
পথ হাঁটতে এসে থেমে লাভ কী?
আমার কালের পথ অতিক্রমের
ইতিহাস হোক সাক্ষী….
জীবনে কত চড়া স্রোত এলো আর গেলো
কতই বা আসবে ফিরে….
বালুময় নদী তীরে
সারা রাত তারই হিসেব কষে যাই,
কুয়াশা মেখে গায়ে, হিমেল ময়ূরাক্ষী….
তোমার শব্দকোষে নেই ক্ষমা নামক কোনো শব্দ,
তবু সহানুভতিরা পড়ে জমা, জেদ হতে থাকে জব্দ….
ক্ষতবিক্ষত হয় মন হৃদয়ের গভীরে,
ওই কারা যেন ডাকাডাকি করে
কালের গহন অন্তঃপুরে,
তবে কি চেতনা এসেছে আজ ফিরে
এই দলা পাকানো মনের মানব শরীরে?
আজকাল উত্তর পাইনা প্রশ্নের,
পৃথিবীর হয়তো গভীর অসুখ….
তাই কি বৃন্ত থেকে কচি কুঁড়ি ছেড়ে ওরা?
তবু বলব, ওদের জীবনে শান্তি ফিরে আসুক।
তোমায় হৃদয় কে কি আড়াআড়ি ভাবে চিড়ে
পাঠিয়ে দেওয়া যাবে সহানুভুতির চিঠি?
যদি এক বার – শুধু এক বার
ডেকে ওঠো আবার….
ওই আবেগী স্বরে , “মিতি, মিতি, মিতি!”