শীতকাল

শীতকাল
-শচীদুলাল পাল

 

 

শীত আসে উত্তরে হাওয়ায়,
রুক্ষ শুষ্ক ধরিত্রীর কুলায়।
মিষ্টি রোদে সুর্য্যিমামার স্পর্শে,
বছরভরের রাগ ভুলে ভালবেসে।
পাতাঝরার কাল উলঙ্গ গাছপালা
সোনালী ধান ঘরে আসার পালা।
চাদর ঢাকা ধরণী ঘন কুয়াশায়
আবছা দেখা যায় ঝাপসায়।
শীতে কাঁপে জীবজগৎ থরথর।
আলসেমি জবুথবু শীতে জড়সড়।
নিবারণে গরম কাপড় লেপ কম্বল
গরীবের তপনতাপ,আগুন সম্বল।
খেজুর রসে পক্ক নলেন গুড়,
পিঠে পায়েস সুস্বাদু মিষ্টি মধুর।
পাটিসাপ্টা,দুধপুলি, তিল পিঠা,
ভাপা পুয়া মালপোয়া বকুল পিঠা।
আমলকি কমলালেবু ফুলকপি বিলাতি।
মুলো বাঁধাকপি সিম মটরশুঁটি।
পালং বেথো মেথী ধনেপাতা গাজর।
শাক সব্জীতে ভরপুর হাট বাজার।
আনন্দ মুখর শীতের গ্রামীণ মেলা,
শহরে আবালবৃদ্ধবনিতার বইমেলা।
অজস্র অতিথি পাখীর ভীড় জলাশয়ে।
শীতে আসে হাজার হাজার মাইল পার হয়ে।
গাঁদা ডালিয়া সূর্যমুখী চন্দ্রমল্লিকা,
গোলাপ ক্যালেন্ডুলা শীতের প্রেমিকা।
শীতের রাতে রাস্তাঘাট শুনশান।
আপাদমস্তক ঢেকে প্রত্যাবর্তন।
কেন্দুলি শান্তিনিকেতন চলো যাই।
পৌষ মেলায়,সাগর সঙ্গমে সাগর বেলায়।
একদিন দলবেঁধে ক’জনে মিলে।
বনভোজনে পাহাড় ঝর্না নদীকুলে
হাসি গান কবিতায় দুঃখ ভুলে।
সবে মিলি বারবার সেলফি তুলে।
উপবাসে বাকদেবীর আরাধনায়,
মাঘ পঞ্চমীতে সরস্বতী পূজায়।
আহারে বিহারে ধনধান্যে লক্ষীমাস।
“কারো পৌষমাস কারো সর্বনাশ।”

Loading

Leave A Comment