কবিতা

জ্ঞাপন

জ্ঞাপন
-অযান্ত্রিক

 


হঠাৎ করে কবিতার ক্লাস শেষ হলে,
কেঁপে যায় হাত সর্বনাশের ভাষায়।
একে একে তারা ঝরা পাতাদের দলে,
একলা গেলেন যীশু, বিষণ্ণ কুয়াশায়।

 

সেই ছেলেটার প্রশ্ন গুলোয় জমা নালিশ,
উত্তর খুজে পাবেও না কলকাতা।
অমলকান্তির রোদ্দুরে ভেজা বালিশ,
একলব্যের এখনো নীরেট মাথা।

 

হাঁটতে হাঁটতে চেষ্টা করেছি জাগার,
তীর নিশানা মাছের চোখটা বোজা।
বিনা নক্ষত্রে আকাশ মনিও উজাড়,
আজকে লেখা কঠিন যদিও বলেছিলে তুমি সোজা।

 

আকাশে ছোয়ার সাধ্য আমার কোথায়,
আবছা ধোঁয়ায়, শব্দের খই, হরিধ্বনি শোনে।
শব্দ বুদ্ধ মিশে গেছে ঠান্ডা সভ্যতায়,
কবিতার ক্লাস শুধু,ছেড়ে যাওয়া পায়ের ছাপ গোনে।

 

আধাঁরের মাঝে মশাল কলম লিখবেনা আগুনে কালি,
কুয়াশার চাদরে উলঙ্গ রাজা শিখবেনা সত্যি বাঁচা।
তোষামোদী খাতা ভর্তি নামে ,তবু কিছু আছে খালি,
কবিতা বাড়ির দেয়ালে দ্যাখো বনেদি পরগাছা।

 

আগুনে বাঁচার নিয়ম আছেই, রোজ চলাচল পথে,
কাছ থেকে নয়,দূরের থেকেই, পারলে শিখিয়ে দিও।
ছাত হীনতায় কাঁপছে কলম ,কাঁপছে কবিতা স্রোতে ,
খাতার পাতায় বেঁচে থাক ঘ্রাণ,নীরেন্দ্রনাথীও।

Loading

Leave A Comment

You cannot copy content of this page