কবিতা

ছেঁড়া কাপড়ে…

ছেঁড়া কাপড়ে…
-সত্যদেব পতি

 

 

অন্ধ গলির বন্দি পাখিটা অঘোরে ডানা ঝাপটায়,
নিশুতি রাত ঝমঝম বৃষ্টিতে নূপুরের রুমঝুম শব্দ – – –
বাবুদের জলসায় অসহায় ফুটন্ত যৌবন…
বিশ্বাসে অপমৃত্যু ঘটছে বিদগ্ধ আঁধারে,
গরীবের পরিধানে একটুকরো ছেঁড়া কাপড়,
সকালের কুঁড়ি এখন পান পেয়ালার ফুটন্ত গোলাপ,,,
রাতের অমানিশায় পূর্ণিমার চাঁদ…
তরতাজা যৌবনে হাজার অলির মাদকীয় চোখ—-
নীল আলোর ঝর্নাধারায় কামনার লেলিহান শিখা,
জ্বালিয়ে পুড়িয়ে খাক করছে হায়নার লোলুপ দৃষ্টি…
নিরুপায় হয়ে নিজেকে বিলিয়ে দিচ্ছে
ঐ নরখাদকের খাবার থালায়,
কারন ঐ সব বাবুদের হাতে বিক্রিত পন্য হয়েছে আজ রাতে….
দুচোখের শ্রাবণ ধারা লুকিয়ে এক মুখ কৃত্তিম হাঁসি নিয়ে নগ্নতার  আসনে একাই
গাইছে জীবনের গান
তার যৌবনের মৌবনে অসহায়তার কুসুম—
বিদ্রুপে হাঁসি হাঁসছে নিয়তি…
রাত শেষে সেখান থেকে নিয়ে যাবে সামাজিক মূল্যবোধে অকৃত্রিম তখমা…
তবুও কি সে লজ্জা নিবারনের বস্ত্র পাবে?
ঐ রাতের হিংস্র শার্দুলের সমস্ত খিদে মেটানোর পরো কি সে পাবে তার ন্যায্য অধিকার?
সারারাত বিনিদ্র যাপনে কি মিটবে তার সকল আশা?
একটুকরো ছেড়া কাপড়ের পরিবর্তে কি
পাবে তার পূর্ন লজ্জা পরিধান?
না তা হওয়ার নয়,
একদিন সবকিছু হারিয়ে এই সমাজের নগ্নস্রোতের ধারায় হারিয়ে যাবে অখিল সাগরে…
ঐ ছেঁড়া কাপড়ের সাথে,
হয়তো এটাই তার ভবিতব্য—–

Loading

Leave A Comment

You cannot copy content of this page