কবিতা

স্থানচ্যুত

স্থানচ্যুত
-অযান্ত্রিক

 


কখনো কখনো সময়োচিত অভাববোধ লিখে যায় তৃপ্তির প্রতিভাসে,
সেতো কাব্য নয়,সেতো প্রতিভা নয়,অন্তলিন কিছু শব্দের উচ্চারণ
একে একে গ্রাস করে নিঃস্বায়ওতা, নিজস্বতার নিপুণ নিরাময় অভিলাশে।
চামড়ার আস্তরণ মনে হয় প্রেমিকের চিরনিদ্রার ,কবরের কয়েক মুঠো মাটি।
নিলোফার তুমি কি এই জন্যেই ভালোবাসো মানুষ?
যেভাবে অহমিক বিবেক হারিয়ে ফেলে দ্যুতি, নির্লজ্জ চক্ষুষ্মান চেয়ে থাকে,
সূর্য ওঠে আবার ডুবে যায় নিঃসীমে কিন্তু সকাল হয়না রাতের আবছায়ায়।
দুপুর গুলো বুকের বাম পাশে পদকের মতো বহন করে যায় মড়ক চিহ্ন,
সকালটা সকাল মনে হয় না ,রাতটা রাত মনে হয় না, স্থান থেকেও স্থানচ্যুত।
নিলোফার তুমি এর জন্যই ছিঁড়ে এসছো গর্ভ ফুল?
স্বকীয়তা কাম্য বলছিল কোনো এক অবগুণ্ঠিত রমণী আসন্ধ্য মৈথুন শেষে,
তার তৃষ্ণর্ত আলজিভ,তার মরাল গ্রীবা, পীন্নত বক্ষ চেয়েছিল যে উদ্দাম প্রকাশ,
সেতো প্রেম নয়,সেতো ভালোবাসা নয়,শুধু তাল তাল মোহের আকুল স্রোত,
আসমূদ্র মন্থন যদি অমৃতের লক্ষই হয়,তাহলে বেঁচে থাকাটাই মানে হীন,সুখহীন
তুমি কি এএই জন্যই ছেড়ে এসেছিলে ধুধুপ্রান্তর ?
তারচেয়ে ভ্রমরের জীবন ভালো,তারচেয়ে মৌলিকতা রক্ষায় প্রজাপতির জীবন ভালো,
যাদের বইতে হয়না দুঃখের শ্রাব,মাখতে হয়না ক্লেদের অভ্যাস লব্ধ প্রণালিও ধারা,
লিঙ্গের ভেদে পৌনপনিক আবেগের সম্পাতে ভারী হয় ওঠে না বসুধার দুগ্ধশীলা বুক।
শুধু চিরন্তন বেঁচে থাকা,অমলিন প্রেমাবেগে উড়ে যাওয়া বাতাসের অচল খানি জুড়ে।
নিলোফার এই জন্যেই কি তুমি সময়ের ব্যবধানে রক্তাক্ত?
জানি না ,শুধু উত্তর খুজে যাই

Loading

Leave A Comment

You cannot copy content of this page