পিয়াস পিপাসা
-তোফায়েল আহমেদ
ললাটের লিখনে মিলন, রাখিবে জানিও যতন, তাদেরই মতন।শুনেন তবে বন্ধুরা মোর বেহুদা ছোট গল্পের কথন।
পৃথিবীর ঘুর্নীপাকে প্রেমিকের সাথে প্রেমিকার দেখা।কাকতালীয় নয় বাস্তবতায়।জীবনের কর্ম তাগিদে দুটি পথের কখনো মিলন হয়।ট্রেনের ক্রস লাইনের সিগনালের মতন।ভাগ্যের সুপ্রসন্নতায় দুজনাই একাকী। ব্যক্তি জীবন থেকে কেহই রিট্রায়ার্ড করেনি।বয়সতো বাতাসের মত গতিশীল। উভয়ের পরিবেশ থেকে আরম্ভ করে সবাই জানে দুটি মানুষের জীবন পরিক্রমার কথা।
কেহ বা পক্ষে কেহ আবার বিপক্ষে ছিল মতামত নামক বাস্তবতার বাহুডোরে।কেহ আবার কুৎসা রটানো স্বভাবের ছিলো।বোধ দিয়ে যারা বুঝেছে তারা কখনো জীবনের বিরুদ্ধে সায় দেয়নি।জীবন ছিলো তাদের দুজনার দুটি হ্নদয়ের মিলনে।মোহনায় বাঁধ সেজেছে পিপিলিকার দল।সুন্দরের পুজা সবাই করে। নিজে অন্যে। ধন্যে ভরে, হেরে না গেলে চরণে।
পিপাসা নামক একটি মেয়েকে ভালোবাসতো পিয়াস নামক এক ছেলে।দুজনায় রুপ নিলো ভালোবাসার ভালো হ্নদয়ের মিলন।কথায় বলেনা! দূরের প্রেম কাছে ডাকিলে আরো কাছে আসো, কাছের প্রেম দূরে ঠেলিলে চিত্ত দিয়ে ডাকো।দুটি কর্মে দুজনার জীবন।ভালোবাসায় ছিলো একত্রিত ভূবন।সঙ্গত সংগীতের আড়ালে হারালো একে অপরজনকে।অবনির প্রাকৃতিক গুলো নিয়মের বেড়াজালে আবদ্ধ।চিরন্তন তাদের পথ চলার জীবন।ভালোবাসা কোন কৃত্রিম বস্তু নয়।প্রাকৃতিক ভাবেই হয়।হ্নদয় হ্নদয়কে খোঁজবে তাহা চিরন্তনময়।ভালোবাসা কোন ফুল নয়।
ইহা কোন চরের বালু ও নয়। ইহা মোরছালিন গাছের মতন। ভেতর নরম বাহিরে শক্ত।বাহির যতই বলুক দূরে থাক। ভেতর বলবেই সময় অসময়ে কাছে আসো।এই সত্যকে সত্যায়িত করা লাগেনা।ইহা অব্যয়। পিয়াসের দেখা পিপাসা পেলো এক গোধুলি লগ্নের পড়ন্ত বিকেলের আলো আধারিতে।দিঘির জল তখনো খানিকটা চোখে পড়ে।দুজনার নীড় এখানেই ক্ষনিকের সময়ের গর্ভে।চারিদিকে নিস্তবদ্ধ হয়ে আসছে পরিবেশের প্যাঁচালির শাব্দিক উচ্চারনগুলো।বাড়ি ফেরার তাড়া দুজনার।পিয়াসের বাড়ি বহু দূর।পিপাসা ছুটিতে বাড়ি আসছে।এখনো বাসায় যায়নি।উভয়ের সাক্ষাতে পিয়াস কথা বলে নিরবতা ভাঙ্গলো।
শুরু হলো শব্দের বৃষ্টি।দুজন দুজনার আপন নয়ন দৃষ্টি।বাস্তবতা আনমনা হলে ও নয়ন মন এক সাথে মিলে বাস্তবতাকে হাড় মানালো।পিপাসার কন্ঠে ভারি অদম্যতা। কথার উপরে কথার সঙ্গম।চোখের সহবাসে মনের চঞ্চল চাতক চাতকী অপেক্ষার প্রাপ্তিতে স্নান করছে।চোখের জলে লবনের তিক্ততা নেই।এ জল যেন মিঠা নদীর পানির সম। কৃতজ্ঞতারা হাসি দিচ্ছে অচেনা দূরের স্বর্গ থেকে।সবুজে বসে দুজনা পাশা পাশি জীবন ঘর্ষন করে আগের মতই নিজেদেরকে পাল তোলা নৌকায় চড়ে পানি ছিটিয়ে ভালোবাসা কুড়াচ্ছে।কিসের ভয়।নাহি সংগোপন। মানেনা বাঁধা ভিন্ন মানুষের মন মালিন্যের।এ যাবত কেহ কারো খবর রাখেনি যে পরিবেশ।তাদের কথায় কি বা আসে যায় বিশেষ?উভয়ের বাড়িতে কেহই জানেনা তাদের আগমণী বার্তা।পৃথিবীটা অবাক দৃষ্টিতে যেন মায়ার কান্নায় তাদের সহানুভূতি জানাচ্ছে।
বিদ্যুত নেই সেখানের পরিবেশে।ক্রমেই অন্ধকার ঝাঁপিয়ে আসছে।নিরবতার পরিধি বেড়ে যাচ্ছে।কত চেনা অচেনা শব্দের বিচিত্র্যে নিজেদেরকে সংযোমে রেখেছে ভালোবাসার মূল্যায়নে।ফুলের পাঁপড়ির মত ঝড়ে পড়ছে দুজনার কথার কলি।স্নিগ্ধ ছড়াচ্ছে দুজনার হ্নদয় পটের নিভৃতেই নয়, জীবনের আনাচে কানাচে, অবশেষে মোহনার মিলন বাঁশির মূর্ছনায়।কি কাতরতার অস্হিরতা।ব্যকুলে আকুল লজ্জার লাজুক লতা। কখনো আড়ষ্ট কখনো ফুটন্ত।এ যেন আরে বারে অগনিত।দীর্ঘশ্বাস এখনো আসে।একে অপরের দীর্ঘশ্বাসরা খেলা করে প্রেম যমুনার আকুলি ব্যকুলির বাঁকে।
পিয়াসের কাঁধে ঝুলানো বেগ।একই দৃশ্য পিপাসার।পিপাসার হ্নদয়ে জাগিলো যে আজি পিয়াসের তৃষ্ণা।
কে মিটাবে মনের জ্বালা ডলে পড়ে কৃষ্ণা। মাথা ব্যাথার ঔষুধ পেয়েছে ঘুমের টেবলেট লাগবেনা।ঘুম গেলো নিজের বাড়ি বেড়াতে ছুটিতে আজ দুজনা।রাত্রীর শরীরে জোনাকি পোকা আলো জ্বেলে কাকে দেখছে। মশারা গান গায় এ দৃশ্য দেখে। পাখিরাতো ঘুমানোর কথা, তারা কেন ডাকে।ভালোবাসার ভালোবাসা তারা ও আজ আসছে ঝাঁকে ঝাঁকে।আকাশের চাঁদ খানি কেবলি উঠিলো।আলোর জোছনারা পবিত্রে ডাকিলো।দুজনার চেহারাটা লাল হয়ে লজ্জাগুলো সাজিলো।পাঁপড়ির ভিতরের আঁখির কি সুধা জাগিলো।হাতগুলো নড়ে চড়ে বাহুর বন্ধন ছিঁড়ে।বুকের জমিনে কে চাষ করছে ভালোবাসার গান গেয়ে ধীরে ধীরে। পেছনে ছিলো পিপাসাদের বাড়ির গ্রাম্য বাংলা ঘর।সেখানে গিয়ে দুজনা কাছা কাছি বসলো, কেহ কারো নাহি পর।।পিয়াস দরজা লাগাতেই পিপাসার ধ্বনি মৃদু স্বরে বাজিলো।কি করছো তুমি? দরজা কেন লাগাইলা? আমিতো তোমার এখনো বৈধ কেহ নই? কলংন্ক হবে জানিবা। যদি কেহ এসে পড়ে তোমারই মান- আগে যাবে, ভেবেছি -ভাবিয়া।লোকে জানে তোমার আমার প্রেম ছিলো কবেকার আগে।বেজেছে বাঁশি আজি দুজনার হ্নদয় শাখে।ভয় নেই, জয় আছে।ক্ষয় আর হবেনা।পিরিতের আঠা লেগেছিলো আগেই, তাইতো মিলেছে হিয়া দুজনার আজ এই প্রত্যয় ছাপিয়া।
ভয়কে জয় করবো, শপথ নিলাম তোমায় ছুঁয়ে বুকের কাঁপুনিকে ঝেড়ে নিলাম।রাত পোহালেই চলে যাবো অদৃশ্যে হারিয়ে। এখন কি করবো বলনা পিয়াস?আমার যে কিছু ভয় শংসয় হয়, বুকে কম সাহস।আমিতো আছি! ভয় নেই , বন্ধন ছিড়িবার পূনরায় মিলানো রস। কপালের লেখন তোমার সাথে পারিবনা প্রিয়া হারাবার।পাশে বসো।বাহিরে শিশির পড়ছে। তার শব্দ শোন।চাঁদের আলোতে পৃথিবী আলোকিত, সে আলোতে মোরা আলোকিত হবো।কুয়াশার চাদরের ভেতরে ডেকে যাবো দুজনা।কন কনে শীত তাড়াবো মোরা, উষ্ণতা ছড়াবো বাহুযুগলের জড়ানো আষ্টে পিষ্টে।তাকাবো দুজনাতে দুজনার মিলন সুধাতে।আরে বারে জাগিবে বাড়িবে অমৃত মোদের আপনালয়ের ক্ষুধাতে।
নাহি সহিবে অপেক্ষার বাণী, আপেক্ষিকতায় বহু ভুগেছি।আজ যাহা হবার হবে, বিধাতায় তাহাই মেগেছি।চোখের তৃষ্ণারা শান্ত হলো, মনের আগুন জ্বলছেই।তারুন্যতায় ডলে পড়লো পিয়াসের পিপাসা বাহুতেই।ঘুম আসলো অচেনা সুরে জড়ানো লেপ্টে চেপ্টে।কাক ডাকা ভোর হলো বাড়ি থেকে তাদের ভাগিতে।
কামনার বাউল গান ধরেছিলো ক্ষনকালের শরীরে।ভালোবাসার ফুঁ এসে নিভিয়ে দিলো অস্হির জাগানো অঙ্গে।দুজনা চলে গেলো, রেখে গেলো তাদের সব জমানো আবেগ।সেই থেকে দুজন দুজনাকে পুরাতন জীর্ণতাকে আস্তা কুড়