কবি সম্মেলন
-কাজল দাস
রবী ঠাকুর আমি ভিক্ষা করে ফিরতে ছিলাম গ্রামের পথে
বিদ্রোহী কবি আপনার বেগে আপনি ছুটেছি জন্ম-শিখর হতে
জীবনানন্দ দাশ অদ্ভুত এক আঁধার এসেছে এ-পৃথিবীতে আজ
কবিতা সিংহ আকাশে যে ঘোরে সেই একা বাজ
সুকান্ত ভট্টাচার্য আজ দেহে আমার সৈনিকের কড়া পোশাক
নীরদ রায় ভেতরে আলো হয়ে থাকে বাইরে এক শুধুই বৈশাখ।
কৃষ্ণ ধর প্রশ্ন করো, কেন বা এমন হয়? কেন স্তব্ধ ভোরের আজান
অজিত দত্ত তবু ভালোবাসি এই পৃথিবীর বাঁ-হাতের দান
প্রেমেন্দ্র মিত্র পৃথিবী বিশাল তারা জানিয়েছে, আকাশের সীমা নাই
গৌর বন্দোপাধ্যায় একটি উচ্চতা থেকে যেন বার বার পড়ে যাই
নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী পিতামহ, আমি এক নিষ্ঠুর সময়ে বেঁচে আছি,
শরৎ মুখোপাধ্যায় দেখ তোমার হাত ধরলাম,দেখ তোমার পা ছুঁয়েছি।
নির্মলেন্দু গুণ তোমার পায়ের নীচে আমিও অমর হব
জয় গোস্বামী বেনীমাধব, তুমি কি আর আমার কথা ভাব,
শামসুর রহমান মেনি মুখো শব্দাবলি ঝেরে ফেলে
অমিতেশ মাইতি বৃষ্টি থেকে তুমি একদিন অক্ষর খুঁজে পেয়েছিলে
শক্তি চট্টোপাধ্যায় সুষমাময়ী চন্দ্রমার নয়ান ক্ষমাহীন
তসলিমা নাসরিন যদি মানুষ হয়ে না পারি, পাখি হয়েও ফিরব একদিন।
বটকৃষ্ণ দে আমার কোন- ও দুঃখ নেই, বেদনাও নেই কোনো
সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় একটাও রয়্যাল গুলি কিনতে পারিনি কখনো
শান্তনু দাস যারা দিয়ে ছিল প্রাজ্ঞ ভালোবাসা, শ্রান্ত অভিমান,
সুব্রত চক্রবর্তী ফুলের শান্ত বন্দিশালায় সারা জীবন ভ্রাম্যমাণ
শঙ্খ ঘোষ লোকে বলবে মুর্খ বড়ো, লোকে বলবে সামাজিক নয়,
পৌলমী সেন আমাকে সেখানে রেখো, যেখানে ভোরের শুরু হয়।
এই কবিতাটি অন্য একজনও পোস্ট করেছে দেখলাম ।
কে সে? এই কবিতাটি আমার প্রথম কাব্যগ্রন্থ-“বোবা সংলাপ” সংকলনের প্রথম কবিতা। তাও ভালো লাগছে এই অধমের কবিতাও চুরি হয়। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে অবগত করার জন্য। ভালো থাকবেন। আর হ্যাঁ যদি বছর তিনেক আগের প্রিন্টেড লেখাটি দেখতে চান, দেখাতে পারি। বিশ্ববঙ্গ বাংলা সাহিত্য একাডেমীর অনুমোদিত।