অনেক ভালো একটু খারাপ
-জ্যোৎস্না ভট্টাচার্য ত্রিবেদী
বলতে পারো পূব গগনে সূয্যি কেন ওঠে.?
রাত শিশিরের ছোঁয়া পেয়েই শিউলি কেন ফোটে..!
থালার মতো মাঝ গগনে পূর্ণিমার ওই চাঁদ,
অমাবস্যা আসলেই সে গুনবেই প্রমাদ।।
রঙ বেরঙের প্রজাপতি ফুলের রেণু মেখে
এ ফুল ও ফুল উড়ে বেড়ায় মধু চেখে চেখে
তার কারণেই গাছেরা সব গর্ভবতী হলো,
ফুলে ফলে ভরে গেলো, বৃক্ষেরা মা হলো।।
আয় বৃষ্টি আয় বৃষ্টি, গ্রীষ্মে সবাই ডাকে
ভীষন গরম, হাহুতাশ, তাই বরণ করি তাকে।
ভর শ্রাবণেই ছিঁচকাঁদুনে বৃষ্টিটা যেই নামে,
ছেড়ে দে মা কেঁদে বাঁচি, ব্যাঘাত সর্ব কামে।।
শীত সকালের হালকা রোদ লাগে বড়ই মিঠে
রোদ পোয়াতো ঠানদি আমার লাগিয়ে রোদ পিঠে।
শীত কালের ওই নতুন গুড় আর পাটিসাপ্টা পুলি,
জিভের জল সামলানো দায়, সকল বিষাদ ভুলি।।
বসন্ত তো আসবেই সে রঙের ডালি ভরে
রঙ বেরঙের ফুল আর খুশির হাতটি ধরে।
প্রকৃতি রানী সাজবে তখন নববধূর সাজে,
ফুলের বনে মধূপ অলি ব্যাস্ত নিজে কাজে।
রঙীন ফাগ উড়িয়ে, মেখে, রঙের খেলায় মাতি
দোল পূর্ণিমায় বসন্তোৎসব ঘুচবে আঁধার রাতি।।
বসন্ত তো রঙের রাজা৷ রোগের রাজাও বটে–
এতো রঙ আর খুশীর মাঝেও ‘বসন্ত’ রোগ ঘটে।
সব কিছুরই ভালোর সাথে মন্দটাও থাকে,
মন্দ ভালো মিলে মিশেই রঙীন খুশী আঁকে।।