শিশির বিন্দু

শিশির বিন্দু
-অমরেশ কুমার

 

 

মোরা ছোটো ছোটো শিশির বিন্দু
একত্রিত হইয়া বানাইয়াছি সিন্ধু ;
ভাবিওনা ক্ষুদ্র বলিয়া পারিবোনা ভাসাইতে
মনে কি পরে ?
সেইদিনের কথা—-
যেদিন বাঁধ ভাঙ্গিয়া, আসিয়াছিলাম আমি
তুলিয়াছিলাম সমুদ্র বক্ষে সুনামি।
কত ঘরবাড়ি গিয়াছিল ভাসিয়া,
কত মানুষ , কত প্রাণী হারাইয়াছিল প্রাণ;
এখনো কী ভাবিতেছো!
আমি ক্ষুদ্র, আমি তুচ্ছ শিশিরবিন্দু?

 

মোরা লাগিয়া থাকি ঘাসের গায়ে;
পদপৃষ্ট করিতেছ মোদের, তোমাদের ওই
কাদা মাখা ধূলা পায়ে।
তবুও সযত্নে দিতেছি পা ধুয়ে;
করিতেছিনা ঘৃণা, বলিতেছিনা কিছু-
শুধু চাই মাথা গোঁজার ঠাঁই
তোমার ওই পায়ের নীচে।

 

তাও যদি না পাই—
ভাবিওনা, এমনিভাবে থাকিব সারাজীবনে
কখনো ভাসাইবো তোমাকে তোমারই অশ্রু নয়নে
মনে রেখো-
তোমার ওই নয়নের অশ্রু
সেও ক্ষুদ্র শিশির বিন্দু;
যে মুহূর্তে ভাসিবে, তোমার ওই অশ্রু নয়নে
দেখিবে কেমন লাগে,ভাসিতে হে বন্ধু!
যেদিন, মোরা সবে মিলে একই সাথে
ধরিব একে-অপরের হাত
ভাবিও , ওইদিন হইবে তোমার শেষ রাত ।।

Loading

6 thoughts on “শিশির বিন্দু

Leave A Comment