Site icon আলাপী মন

যুগল মিলন

যুগল মিলন
-রুদ্র প্রসাদ

 

 

দিন আসে, দিন যায়, জাগতিক নীতি,
নীতির বদল হয় কালের খেয়ালে।
ইন্দ্রজালে মোহাচ্ছন্ন জগৎ-সংসার!
সার করে অসার যতনে কাটে সময়…,
বুভুক্ষিত দ্রবীভূত প্রাণ নীরবে নিভৃতে,
রঞ্জিল হরিষে-বিষাদে এ পাষাণ চিতে!
ফুল-ফল ঝরে যায় বৃন্তচ্যুত হয়ে,
রয়ে রয়ে আলো জ্বালায় অগনিত তারা;
তারা বলে, ‘মহাশূন্য ছাড়া অন্যকিছু নাই’।
কার টানে সব শূন্যে ভাসমান?
আনচান করে মন, জানতে চায় উত্তর।
উত্তর আসে ঐ মহাশূন্য থেকে…,
যাতে ঐ সৃষ্টি-স্থিতি-লয়, সবই একাকার;
বারবার তারই বক্ষে নিরবধি ঘোরে ঐ…,
দূরে অগনতি গ্রহ-নক্ষত্র, আপন কক্ষপথে।
পথে পথে ওড়ে ধূলি, বিষণ্ণ গোধূলিবেলায়
হেলায় হারায় সবই, ঐ মহাশূন্য মাঝে।
সাঁঝে ঝরে বিন্দুবারি শিশির হয়ে…,
হিয়া ভরে অসীম শূন্যতার গানের ভাষায়।
প্রাণে প্রতিধ্বনিত হয় মহাশূন্যেরই সুর,
দূরে, বহু দূরে, গভীরে যায় অবচেতন মনে,
ক্ষণেক্ষণে যেন মনে হয়, হেথা সবই শূন্যময়!
প্রলয় নাচন নাচে নটরাজরূপে, সে বিধাতা।
খাতায় লেখনী চলে আপন খেয়ালে;
দেওয়ালে মাথা কুটে শেষ হয় কেউ…,
কেউ বা ভেসে যায় খুশির জোয়ারে।
বারেবারে ধ্বনিত হয় সে সুরের লহরী!
প্রহরী অতন্দ্র, সীমাহীন শূন্যে, ঐ মহাশূন্যে;
দিবানিশি অহর্নিশ হেরি শুধু নীল, ঘননীল,
মিলে সেই কৃষ্ণরূপে সৃষ্টি-কৃষ্টি-লয়-স্থিতি;
রসবতী প্রেমময়ী রাধা তো তারই পরিপূরক,
তাই আজও অমর সেই যুগল-মিলন তিথি।।

Exit mobile version