Is space exploration worth the expense?
(মহাজাগতিক অনুসন্ধান কতোটা মূল্যবান?)
-মেঘা ত্রিবেদী
Space exploration is an expensive investment. A very expensive one, in fact; info graphics shows that it costs nearly £15,000 per kilogram to launch an object into the Earth’s orbit.
In a financial climate of austerity, should we be ‘wasting’ money on what some consider to be a luxury? Should we be focusing on more down-to-Earth problems like climate change or world hunger and poverty, rather than parking yet another rover on Mars?
Of course those problems are very worthy ones that are in dire need of addressing, but who says space exploration can’t help with them?
Sunday, July 20, will mark 45 years since the United States put the first two astronauts safely on the moon. The cost for the Mercury, Gemini, and Apollo programs was more than $25 billion at the time—more like $110 billion in today’s world. The ensuing U.S. space efforts have cost an additional $196 billion for the shuttle and $50 billion for the space station.
That is a lot of money to consider. It could have gone into million other things that would have helped people here on Earth more directly.
But what we need to take into account is if we have the results to show. What really matters is what we’ve profited from the deal.
NASA’s total inflation-adjusted costs have been more than $900 billion since its creation in 1958 through 2014. Looking back, have we gotten our money’s worth from the investment? I dare say yes.
Almost every area of technology has benefited from space research. Clothes and vehicle interiors are more fire resistant because of research after the Apollo fire. Weather forecasting is much more accurate because of satellite monitoring. Monitoring from space can detect forest fires, oil spills, aquifer depletion, downed aircraft, etc. We have recently watched the World Cup matches from Brazil in near real-time via satellite feed. We can surf the Internet with laptop or tablet while flying in an airplane almost anywhere in the world. We are more connected than ever, both in our everyday activities and in emergency situations.
Medicine has been revolutionized by the space program. We learned to monitor orbiting astronauts—pioneering telemedicine and leading to unprecedented improvements in patient monitoring, in and out of hospitals. Research into astronaut bone calcium loss has led to better understanding and treatment of osteoporosis. Digital mammography is a direct application of space data reduction processes. Baby foods are more healthful because of astronaut food research.
The Apollo guidance computer was the great grandfather of the microcomputer. It weighed 70 pounds, required 55 watts of power, and had less than 40 KB of memory in a day when most computers weighed tons, filled rooms and needed their own air-conditioning systems. It had less capability than many of today’s electronic wristwatches, but it took us to the moon and back. Its descendants are today’s laptops, tablets, GPS receivers and cellphones. Today, the trend for such devices is to make them ever smaller, ever more capable—a trend driven by the space program.
There are few other public activities with such a sustained level of performance and impact. Why? Because the space race was a unique event in history. However, in order to remain relevant, NASA needs to have a driving focus—a mission. The space around Earth contains a huge number of asteroids. We are very much overdue, at least statistically, for a large asteroid to strike the planet. The last large asteroid killed off the dinosaurs 65 million years ago. Would protecting Earth and saving civilization be a sufficiently important mission?
The fundamental questions about our universe that space missions and telescopes are trying to answer are some of the most profound and difficult questions it is possible to ask. That forces us to think outside the box and craft new ways of doing things. Of course, it is almost always impossible to predict which exact benefits will come from answering these questions. But it is an untapped resource of possibly unlimited knowledge and power and is it really wise to not look into it, just because we might not hit gold every time?
(অনুবাদঃ রীণা চ্যাটার্জী)
মহাজাগতিক অনুসন্ধান আজকের দিনে উচ্চতম বিনিয়োগের মধ্যে অন্যতম আলোচিত এক বিষয়। বিশ্লেষণী তথ্য অনুযায়ী, পৃথিবীর কক্ষপথে কোনো একটি বস্তু পাঠাতে প্রতি কিলোগ্ৰামে আনুমানিক প্রায় পনেরো হাজার পাউন্ড ব্যয় হয়।
বর্তমান আর্থিক সংকটকালীন পরিবেশে এই বিশেষ বিষয়ে বিনিয়োগ- কি বিলাসিতা? অপচয়? আমরা Mars-এ আরো একটি rover পার্ক করার জন্য ভাববো নাকি দারিদ্রতা দূরীকরণ সম্পর্কিত একটি আর্ধ সামাজিক বিষয় নজর দেবো?
অবশ্যই এটি একটি বড়ো প্রশ্ন, সমাধান করাও প্রয়োজন। কিন্তু এ কথাও তো জোর দিয়ে বলতে পারি না যে, মহাজাগতিক অনুসন্ধান আমাদের এই বিষয়ে ভবিষ্যতে কোনোদিন সাহায্য করবে না?
20th July রবিবার পঁয়তাল্লিশ বছর হলো যুক্তরাষ্ট্রের দুই মহাকাশচারী নিরাপদে চাঁদে পা রেখেছিলেন। Mercury, Gemini, আর Apollo program- এর জন্য সেই সময় এর বিনিয়োগ মূল্য ছিল পঁচিশ বিলিয়ন ডলার– আজকের নিরিখে যা একশো দশ বিলিয়ন ডলারের কাছাকাছি। তারপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র shuttle- এর উপর একশো ছিয়ানব্বই বিলিয়ন ডলার খরচ করেছে। Space station- এর উপর পঞ্চাশ বিলিয়ন ডলার খরচ করেছে।
অবশ্যই এই বিনিয়োগ মূল্য অত্যন্ত বেশী। এই মূল্যে বা এর থেকে কম মূল্যে সরাসরি আরো অনেক বেশী পীড়িত, অসহায়, ক্ষুধার্ত মানুষদের সাহায্য করা যেতে পারা যেত।
এই বিষয়টি থেকে আমাদের প্রাপ্তি সম্পর্কে ফলাফল যদি জানতে চাই, এর গুরুত্বপূর্ণ দিকগুলো ভেবে দেখা দরকার।
1958 থেকে 2014 এই কয় বছরের মধ্যে NASA এর খাতে খরচ প্রায় নয়শো বিলিয়ন ডলারের বেশি। উঠে আসে একটি প্রশ্ন এই বিনিয়োগ মূল্য কি আমাদের কোনো সাহায্য করেছে? আমরা কি উপকৃত হয়েছি? আমার সমর্থন সম্পূর্ণ সদর্থক।
আজকের প্রযুক্তি বিভাগ সম্পূর্ণ ভাবে উপকৃত এই অনুসন্ধানের হাত ধরে। APOllO fire এর পরে আমাদের পরিধেয় বস্ত্র, পরিবহন ব্যবস্থা অগের থেকে অনেক বেশি অগ্নি প্রতিরোধী। স্যাটেলাইট পর্যবেক্ষণ দ্বারা আবহাওয়া পূর্বাভাস দেওয়া সহজসাধ্য হয়েছে। মহাকাশ পর্যবেক্ষণ থেকে বনে আগুন, সমুদ্রের ওপর তেল ছড়ানোর দূষণ, জলস্তর হ্রাস, Bermuda triangle এ অহেতুক বিমান অন্তর্ধান প্রভৃতি আরো বিষয় সম্পর্কে জানতে পেরেছি।
স্যাটেলাইটের মাধ্যমে আমরা সদ্য অনুষ্ঠিত ব্রাজিল থেকে বিশ্বকাপ প্রায় যথাযথ সময়ে দেখেছি। আন্তর্জাতিক বিমান পরিষেবায় আমরা উড়ন্ত অবস্থাতেও ল্যাপটপ বা ট্যাবলেট দিয়ে ইন্টারনেট সার্ফ করতে পারি। আমাদের দৈনন্দিন জীবনে, আপৎকালীন ব্যবস্থা উভয় পরিস্থিতিতেই আমরা অনেক বেশি সংযুক্ত ও সঙ্ঘবদ্ধ আগের থেকে।
মহাকাশ কর্মসূচির মাধ্যমে চিকিৎসা শাস্ত্রে বিপ্লব এসেছে। মহাকাশচারীদের স্বাস্থ্য সংক্রান্ত তথ্য মনিটারিং করার প্রয়াস থেকে টেলিমেডিসিন সেবার প্রচলন হয়েছে। যুগান্তকারী আবিষ্কার– চিকিৎসালয়ের ভেতর কিংবা বাইরে থেকেও রোগীদের চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব। মহাকাশচারীদের হাড়ের ক্যালসিয়াম ক্ষতির অনুসন্ধানে অস্টিওপোরোসিস চিকিৎসা উন্নত করা সম্ভব হয়েছে। মহাকাশচারীদের খাদ্য ফলে আমরা অনেক স্বাস্থ্যসম্মত শিশু আহারের সন্ধান পেয়েছি।
APOllO Guidane Computer আজকের ব্যবহৃত Microcomputer-এর পূর্বসূরি। এর ওজন সত্তর পাউন্ড, পঞ্চান্ন ওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন এবং চল্লিশ কিলোবাইটের কম মেমরি ছিল। এর জন্য প্রয়োজন হতো একটি নিজস্ব কক্ষ, শীততাপ নিয়ন্ত্রিত ব্যবস্থা, বর্তমানে ব্যবহৃত Computer-এর প্রয়োজন এর তুলনায় নিতান্তই সাধারণ, কর্মক্ষমতা অনেক বেশি। কিন্তু APOllO Guidance Computer-এর হাত ধরেই আমাদের প্রথম সফল চন্দ্র অভিযান। মহাকাশ অনুসন্ধান কর্মসূচির তাগিদে আমরা পেয়েছি দৈনন্দিন অতি প্রয়োজনীয় ল্যাপটপ, মোবাইল ইত্যাদি। মহাকাশে ব্যবহারের প্রবণতায় যন্ত্রগুলো ক্রমে ক্রমে ছোট করা হয়েছে ফলে তা সাধারণ মানুষের আয়ত্তে এসেছে। নিত্যদিনকার যোগাযোগ করা অনায়সসাধ্য হয়েছে।
পৃথিবীর ইতিহাসে মহাজাগতিক গবেষণা খুবই অনন্য ও গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। তাও আজকের দুনিয়ায় গুরুত্ব পাওয়ার জন্য NASA- র একটি মিশন প্রয়োজন। পৃথিবীর চারপাশে বিপুল সংখ্যক গ্ৰহাণু রয়েছে। শেষ বৃহৎ গ্ৰহাণু পঁয়ষট্টি মিলিয়ন বছর আগে ডাইনোসরকে নিশ্চিহ্ন করেছিল। পৃথিবীকে রক্ষা করা, সভ্যতা সংরক্ষণ করা যথেষ্ট পরিমাণে গুরুত্বপূর্ণ মিশন নয় কি?
জীবন সম্পর্কে আমাদের মৌলিক প্রশ্নগুলোর উত্তর দেবার আপ্রাণ চেষ্টা মহাকাশ মিশন ও টেলিস্কোপগুলো প্রতিনিয়ত করছে। জীবনের এই মৌলিক প্রশ্নগুলোর উত্তর পাবার জন্য আমাদের প্রচলিত ধারণার বাইরে গিয়ে চিন্তা করতে হবে। অবশ্যই সবসময় এই গবেষণার উপকারিতা বা সঠিক উত্তর সম্পর্কে নিশ্চয়তা থাকতে পারে না। কিন্তু এটি অজানাকে জানার এক অফুরন্ত ভাণ্ডার। অজানাকে জানতে নিতে হবে একটু সাহসী পদক্ষেপ, অদূর ভবিষ্যতে ফল পেতেও পারি।
প্রচুর তথ্য সমৃদ্ধ অসাধারন একটি লেখা, অনেক কিছু জানলাম, সমৃদ্ধ হলাম…
🌺🌺