একলা ফেরা
-অযান্ত্রিক
আগের বছরে আমি খুব সংবেদনশীল ছিলাম,
তাই হয়তো জলে ভরে উঠতো চোখ।
আগের বছরে আমি খুব সবুজ,খুব প্রত্যয়শীল ছিলাম,
তাই জামার গায়ে উড়ে আসতো পাখি।
বিষুব রেখার মত দীর্ঘতম ক্লান্তির একদম শেষে,
আশ্বাস বাতি জ্বালানো জানতো সব লোক।
আগুনের পাশে বসে অনেকেই আঁধারে আঁকত চাঁদ,
কেউ কেউ জ্বালিয়ে রাখতো জোনাকী।
আগের বছরে আমি খুব সংবেদনশীল ছিলাম,
তাই হয়তো চোখে চলে আসতো জল।
অসময় চুমু খেতো পাশ ফিরে মরে যাওয়া জলযান,
ভাবনার পালে লাগলে বাসন্তী বাতাস হঠাৎ।
তোমার ফেরার গন্ধে জটায়ুর ডানার মতো নামতো সন্ধ্যে,
বুকের উপর জেগে উঠতো আস্ত মফঃস্বল।
যারা দূরে দূরে জ্বালিয়ে রাখত জোনাকী দিনের সীমান্তে,
তাদের গালের থেকে আমি চুরি করে আনতাম রাত।
বিগত কয়েক মাস ধরেই আমি মেখে চলেছি সেই রাত,
রেশমী সুতোর মতো হওয়ার গায়ে ধুলো।
অথচ আজ একের পর এক আঘাতে আর ওঠে না আর্তনাদ,
চোখের মধ্যে শুকনো বরফ,বেদনার মরুভূমি।
দুহাতে মৃতদেহ ঢাকা ফুল,সাদা কাপড় ঘি চন্দনের ঘ্রাণ,
ছবিতে ফুলের মালা স্থীর স্থবির মুখগুলো।
চেয়ে আছি পথের দিকে যেখান থেকে প্রিয় মানুষের চলে যান।
মনে পরে,
কিভাবে ফিরতে হয় শ্মশান থেকে একা, শিখিয়ে ছিলে তুমি।