দেশপ্রেম
–শুভঙ্কর অধিকারী
কালো মেঘের আকাশে
বছরের ক’দিন উড়ছে সাধের তিরঙ্গাটা!
তবু সবুজ, গেরুয়ার লড়াই অব্যাহত, ঐ যেমন চলে,
কেবল আমজনতা হচ্ছে পেষায়, দিবারাত্র অশোকচক্র তলে!
এখন দেশের সকল নেতাজিরা
সেবার নামে কেবল রক্ত চোষার পেশা,
স্বজন পোষন খালি, হিতাহিত সব দিয়ে জলাঞ্জলি
চোখে মুখে ফুটছে কেবল, দেশটা ঝাঁঝরা করার নেশা!
কারখানার সাইরেন হোল স্তব্ধ!
বছর ত্রিশেক ধরে একে একে সব অতল ঘুমে
মজদুর তুমি কর্মহীন হয়ে, তবুও স্বপ্ন কেন দেখো!
কেবল ভারী তালায় তোমার, আঁধার জীবন তরী আঁকো!
বাজলো নাকি নির্বাচনের ঘণ্টা!
ঐ বুঝি আসছে তারা সুনামির ঢেউ হয়ে
জনতা সেবার প্রতিশ্রুতি, মুখস্থ ভাষণ আউরে দিতে
দেশ ভক্তের মুখোশ সেঁটে বুঝি ভোট ভিক্ষা চাইতে এলো দু’হাত পেতে!
বীর সীমান্তের প্রহরী!
বৃথা তোমার দেশের তরে আত্ম বলিদান!
সকল দরিদ্র, মুচি, মেথর, ডোম এখনও ঘৃণার পাত্র!
নারী আজও হাতের পুতুল, আজও গণ্ডি রেখায় হারায় সন্মান!
ভিড় করেছে দেশ প্রেমিকের দল
দিনে দিনে বাড়ছে কেবল তাদের কোলাহল!
ফেসবুক, হোয়াটসাপে ঝুড়ি, ঝুড়ি স্ট্যাটাস, পোস্টে,
সেলফি তুলে নাঙ্গা শিশুর সাথে, ভাগ নিয়েছে তাদের জীবন কষ্টে!
বুজরুগিতে মাতছে গোটা দেশ
ঝারফুঁকে কি আজও মনে বিশ্বাস ধরো!
অস্ত্র হাতে মাঠে নেমে ঐ মন্দির বনাম মসজিদ
বীর শহীদের বলিদানের দেশকে কেন কালিমালিপ্ত করো!
ধর্মের টনিক গিলে তুমি
বিবেকটাকে কবর দিলে নাকি?
কোরান, গীতা লাইব্রেরির ওই উঁচু তাকে তোলা
হাতে সময় থাকে যদি, তবে ধূলো ঝেড়ে তাতে একটু দিও উঁকি!
দেশ সেবাতে এগিয়ে যদি এলে
হাতে রং বেরঙিন দলের ঝান্ডা ধরে কেন?
স্বদেশ প্রেমের যদি অনুরাগীই হবে মনে প্রাণে
তবু স্বার্থ বোঝায় লোলুপ চেরা জিভের লেহন যেন!
বাজার হাটে বিকছে মেধা!
উৎকোচ আর তোষামোদে মুখটা ঢেকে,
তেলা মাথায় তেল বুলিয়ে চলে সে যে বুদ্ধিজীবী
জীব সেবাতে তাবর নেতার চরণ ধূলি একে একে নিচ্ছে চেখে!!
জয় হিন্দ!!
বন্দে মাতরম!!
অস্থির শব্দরা কি পৌঁছালো?
নিস্তেজ রক্তের শিরায় শিরায়, দেশ ভক্তির টানে!
তোমার নিদ্রা হল কি ভঙ্গ! কাটেনি আরষ্ঠ, অলসতা ভাব,
কেবল ছুটি কাটানো দিনটা! দু’হাত ছড়িয়ে দিয়ে আকাশপানে!
অকপট রৌদ্র কি পড়ল চোখে!
কষ্ট করে আর ও চোখ মেলো নাকো,
বেশ তো আছি সবাই মিলে গভীর ঘুমের দেশে!
কি লাভ তবে দুচোখ মেলে। তুমিও আয়েশ করে ঘুমিয়ে তবে থাকো!!
Darun hoacha
Thank you