“পরশমণির আলাপ”
-সুমিতা পয়ড়্যা
সাহিত্যের আঙিনায় আলাপ,আলাপীমন
সৃজনশীল মনের ছটা, আলোক অনুক্ষণ।
রুচিশীল এক দিশার আলোয় প্রকাশ;
সাহিত্যের আকাশে সাধক মেলায় একরাশ।
প্রতিভার অজস্র ফুল ঝরে দিকে-দিগন্তরে
সুবাসিত দ্যুতি ছড়ায় অন্তরে অন্তরে।
নতুন প্রতিভা নতুন প্রয়াস উদ্যমী স্বপ্ন—–
আলাপীমনের সমৃদ্ধিতে ঋদ্ধ মন মগ্ন।
সুস্থ সাহিত্যের এক পৃথিবীর আগুনের পরশমণি,
সুন্দর আলাপে জমজমাট আলাপী মনের খনি।
উৎকৃষ্ট চিত্তের শুদ্ধ কল্পনার জাল বুনে,
রুচির আস্বাদনে চেতনা আলাপী মনে;
কবিতা-কাব্য সমারোহ, আছে গল্প
তারতম্যের সঞ্চয়নে আলাপন স্বল্প স্বল্প।
কাব্যের তরী আলাপীমন এক সোনার তরী
জৌলুস ভরা সম্পদে মনের ক্ষুধা ভরি।
আলাপনের মালা হাতে ডাকে আলাপীমন;
ভালোবেসে বলে শোন মন দিয়ে শোন!
হরণ করে হৃদয় নিল আলাপের সাথে
আলাপী মন করজোড় করি দুই হাতে।
দূর-বহুদূরে ছড়াবে নাম সুরে সুরে
লেখক-কবি আসবে বারংবার তোমার দ্বারে,
ছন্দোবদ্ধ সৃষ্টির হৃদ পাপড়ি মেলে——
আপনার আপনায় ডুব দিয়ে আপনি খেলে।
সুন্দরের প্রতীক মনোহর সৃষ্টির উল্লাসে
আলাপী মন গড়ে ওঠে আলাপের রঙিন বিশ্বাসে।
যুগে যুগে আলাপ হোক তব স্রষ্টার দ্বারে,
মোদের আসন পাতা রবে তব শ্রেষ্ঠত্বের তরে।