মুক্ত গদ্য

নান্দনিক অনিচ্ছা

নান্দনিক অনিচ্ছা
-অমিতাভ সরকার

 

 

কলেজ স্ট্রিটের মোড়ে কদিন আগে দেখা হয়েছিল অনিচ্ছার সাথে। ভুবন ডাঙ্গার অনিচ্ছা। বললে কেমন আছিস ,অনেকদিন দেখা হয়নি।
-হ্যাঁরে ভালো, তুই কেমন?

-ভীষণ তাড়া আছে। প্রকাশক অপেক্ষা করছে। প্রচ্ছদের ছবিটা দিতে হবে। বই মেলায় দেখা হচ্ছে, আমার ভীষণ দরকার আছে।

-ঠিক আছে, কথা হবে। বাই ।

অনিচ্ছা বিছানায় ছটফট করছে। তার প্রয়োজন গ্রন্থের প্রচ্ছদের জন্য আকর্ষণীয় ছবি । নিশ্চুপ এর সাথে দেখা হয়ে ভালই হল, ওর সাথে আলোচনা করা যাবে। আঁকিয়ে নেব। ভেবেছি ছবিটা যদি এমন হয়। কেমন হবে?

টানা টানা আঁকা চোখ, আঁখির পাতা কালো ভ্রমরের মতো,প্লাকিং করা ভুরু, শুদ্ধ সোজা কেশ বিন্যাস, আলক্ত দু’টো ওষ্ঠ, ভেজা ভেজা, নখগুলো দামী নেল পালিশে সাজান। বাহুতল ইরেজ করা । আকাঙ্খিত অবয়ব। উড়জ যুগল প্রস্ফুটিত। বৃন্ত দুটি উদ্ধত থাকবে খয়রি বেষ্টনীর মধ্যে। নিতম্বে থাকবে আদিম আকর্ষণ। নাভিমূল শিশির সিক্ত, হীরক দ্যুতিতে ঝলমলে।নিম্নাঙ্গের খাঁজে থাকবে অনন্ত লালসা। কেশহীন, পরিচ্ছন্ন। নিশ্চুপকে এভাবে ছবিটা আঁকতে বলব বইমেলা থেকে আমার ফ্ল্যাটে নিয়ে এসে, বিয়ার খেতে খেতে। হঠাৎ আলো নিভে যাবে।

হ্যাঁ আমি ,আমি অনিচ্ছা। খোলামেলা হয়ে আসবো নিশ্চুপের চোখের সামনে। আলো জ্বলে উঠবে, বলবো দেখতো কেমন লাগছে? এটাই আমার কাব্যগ্রন্থের প্রচ্ছদ হবে । এঁকে দে প্লিজ। পোজ কিভাবে নেব বল। নিশ্চুপ নিস্পলক, চরাই-উৎরাই এ হানা দিল।

Loading

Leave A Comment

You cannot copy content of this page