নৈঃশব্দের সন্ধানে
-সঞ্জিত মণ্ডল
শহর ছাড়িয়ে কিছু দূরে গিয়ে পুরানো নদীর বাঁকে
গাছ গাছালির ফাঁকে, শুধু পাখিরা যেখানে ডাকে
শব্দরা যেথা কথা খুঁজে ফেরে নৈঃশব্দের কাছে।
যাব আমি সেথা দেখে নিও তুমি তোমাদেরও নেবো সাথে।
সে এক বনের পার, শাল পিয়ালের পাতায় পাতায় ভরানো সে চারিধার।
শিমূলের ডাকে মৌমাছি ছোটে মৌ জমা করে চাকে,
গাঁয়ের বিধুরা বধুকে ডেকেছে ভালোবাসা এক ফাঁকে।
প্রজাপতি আজও ভোলেনি সে পথ উন্মনা হয়ে থাকে,
যে ফুলের প্রেমে এখানে ওখানে ভ্রমর মহুয়া নাচে।
দোয়েল পাপিয়া কয় কথা যেথা বউকথা কয় কানে,
চুপকথারাও মৃদু ঈশারায় ডাক দিয়ে যায় মনে।
আকাশ পারের নীল সাগরের মেঘভেলা কারে টানে,
সোনা রোদ্দুরে ডানা মেলে দিয়ে সোনাচিল ভাসে গানে।
জোরালো বাতাস ফেলে নিঃশ্বাস শব্দরা কথা শোনে,
ফলের বাগানে হাওয়া দোলা দেয় তালপাতা দিন গোনে।
আম,জাম, লিচু, কলা, জামরুল যত আছে সে বাগানে,
হৃদয়ের কথা বলে বুঝি গাথা কে যে পাকে কোন দিনে।
বাঙালির প্রাণ আনচান করে ফসল পাকার দিনে,
চোত-বোশেখের জৈষ্ঠের দিনে গরমে কিংবা ঘামে।
বাঙালির প্রাণ আজও তাজা জান, বিভোর হয় সে গানে,
আহার না থাক বেঁচে থাকে তারা বাংলার গানে গানে।