জীবন নদীর শুকনো চর!
-সত্য দেব পতি
শেষ শীতের সকালে উজ্জ্বল সূর্য্য প্রভা,
মনের দর্পণে নিজের ভুত ভবিষ্যতের ছবি-
এখনো বিশ্বাসের সরল দন্ডে করি সম্পর্কের মাপ;
দুরে অহংকারী শৌর্য্যালয়ের নিপুণ কর্মশালা –
তবুও আমি তা থেকে শত যোজন দুরে থাকি।
বদলে যাওয়া উৎশৃঙ্খল উলঙ্গ সময়ের তান্ডব,
রসহীন চেতনার গৃহ জ্বালিয়ে খাক করে দেয়-
তবুও বিশ্বাসের নদীর জলে শীতল প্রবাহ বিদ্যমান;
রাস্তার উপর অবাঞ্ছিত মানুষের জটলা কখনো ভয় জাগিয়ে তোলে নিকশতার।
এখন মনে হয় ঐ শীর্ণকায় জীবন নদীর বালুকা রাশিতে পড়ে আছে নির্লজ্জ বর্তমান!
হয়তো কোনো বর্ষা দিনে আকুল করা মেঘ এসে
আবারো ভাসাবে দু’কুল?
সবুজের সমারোহ ডেকে বলবে নদী তুমি এখন
সম্পূর্ণতা পেয়েছো তোমার গর্ভে এখন সোনা ফলেছে,
কয়েকদিন পর উঠবে প্রসব বেদনা জন্ম হবে
হরিৎক্ষেত্র সন্তানের –
বুকের মধ্যে এই আশা নিয়ে আমি রইলাম অপেক্ষা করে আমার জীবন নদীর শুকনো চরে।