শিয়ালের মহাসভা
-অমল দাস
বিকেলের মাঠের শেষ প্রান্তে সূর্য প্রায় ডুবেছে কিন্তু তার বিদায় আলোর প্রলেপ দিগন্তের আকাশ রাঙিয়ে আছে এখনো। একটু আঁধার না হলে বেরনো সম্ভব নয়। তাই সকলেই যে যার মত নিজের বিচরণ ক্ষেত্রে অপেক্ষা অবসানের প্রহর গুনছে। ধীরে ধীরে আঁধার নেমে এলো। হঠাৎ একটি কর্কশ কণ্ঠে ‘হুক্কা হুয়া’… আওয়াজ শোনা গেলো। দূরে যে বসত বাড়িগুলি ছিল সেখানে কয়েকটি ঘরে এই ডাক ধ্বনিত হওয়াতে তারা বুঝল যে, আজ শিয়ালের বুঝি কোন সভা আছে। যেমন ভাবনা তেমনই হলো। এই ডাকের পরই আশেপাশের ঝোপঝাড় থেকে আরও কয়েকটি শিয়াল বেরিয়ে এলো। নবান্নের ধান কয়েকদিন আগেই উঠেছে তাই চাষের মাঠগুলি প্রায় ফাঁকা। মাঠের মাঝে পূর্ণিমার চাঁদের আলোয় প্রকৃতির শোভা দৃষ্টি নন্দন হয়ে উঠেছে। এই মাঝ মাঠেই শিয়ালের দল গোল হয়ে বসেছে।
যে এই সভার হুঙ্কার দিয়েছিল, সে ইদানীং একটু আমিত্ব প্রদর্শন করছে। ভালো মন্দ খেয়ে হৃষ্টপুষ্ট হয়েছে। অনেক কানাঘুষো করে সে প্রচণ্ড ধূর্ত! দরিদ্র দুর্বল শিয়ালদের সঞ্চয় মেরে দিয়েই এমন ঢোল হয়ে উঠেছে। তাই আজকাল দয়া মমতা হারিয়ে ক্ষমতা কুক্ষিগত করার উত্তরসূরী ভাবে নিজেকে। তবে ঐ কথায় বলেনা “গায়ে মানে না আপনি মোড়ল!”
অনেকেই অসন্তুষ্ট ছিল তবুও আসতে হয়েছে, নয়তো ঘাটের জল শুকিয়ে যেতে পারে।
“নেহাত অস্তিত্বের সঙ্কটে আছি তাই নয়তো এই শীতল হাওয়া খাওয়া বেহুদা সভায় কে আসে!” আসার পথে এমনটাই বলতে শোনা গেলো ফিসফিস করে, বাড়ুইপাড়ার একটি শিয়াল ঘোষপাড়ার অপর এক শিয়ালের কানে।
সেও উষ্মা প্রকাশ করে বলল, যা বলেছিস ভাই সঙ্কটই বটে, একসময় জোর ছিল ঠ্যাঙে, দৌড়ে ঝাঁপিয়ে লুটেছি যেমন পেরেছি। আর আজ কি বৈধব্য দশা। একটা চুনোপুঁটিও পাতে পড়েনা!
-“হুম সত্যিই কি দশা’ই না হলো আমাদের। আবার এই সভায় যাচ্ছি তার জন্যেও দেখিস কথা উঠবে! নিন্দুকেরা নিশ্চয়ই বলবে চোরে চোরে মাসতুতো ভাই।” এই বলে অপরজন নাকে সর্দি নিয়ে দীর্ঘ নিঃশ্বাস ফেলে সভার দিকে এগোতে লাগলো।
পূর্ণিমার চাঁদ তখন ঝকঝক করছে, পাশের জঙ্গল থেকে বাদুড়গুলো বেরিয়ে এসেছে, তারা আনন্দে আত্মহারা হয়ে খোলা আকশে নেচে বেরাচ্ছে। ছোট ছোট গর্ত থেকে ইঁদুর বেরিয়ে সারা মাঠ চষে বেরাচ্ছে নির্ভয়ে। কারণ তারা জানে আজ শিয়ালের দল ব্যস্ত মিটিং মিছিলে। অতএব তাদের নজর এদিকে পড়বে না! ভয়ও নেই। আর পোকামাকড়ের তো অভাব নেই জ্যোৎস্না আলোকে স্নান করতে।
একে একে ঘোষপাড়া, তেলুপাড়া, বারুইপাড়া, চৌধুরীপাড়া, যাদবপাড়া, মিয়াঁপাড়া, মুখার্জীপাড়ার জঙ্গলের শিয়ালগুলি বাঙালপাড়ার মাঠে এসে জমায়েতে সামিল হলো। আশেপাশের আরও অনেক জঙ্গল থেকে এসেছিলো আরও কয়েকটি শিয়াল। সবাই একই জমিদারীর আওতায় পড়ে কিনা তাই!
পুরো এলাকাটি “লুটে খাও জমিদারী” এস্টেটস্ হিসাবে পরিচিত। কিছুদিন পূর্বে জমিদার বদল হয়েছে। আগে এক বৃদ্ধ জমিদার এর তত্বাবধান করতেন। বয়েস হয়েছে হাঁটা চলাও বিশেষ করতে পারতেন না,কথাও কম বলতেন! তাই তাঁর রাজত্বের কোন অংশ কে কোথা থেকে মেরে পগারপার হচ্ছে বুঝতেও পারতেন না। বিরোধীরা গলাধিকরনের সুযোগ খুব একটা পেতেন না। নিরানব্বই শতাংশ ঘোটালা নিজের লোকজনেই করেছেন। কিন্তু অসমর্থ দুর্বল ও মৃদুভাষী হওয়াতে সব জেনেও কিছুই বলতে পারতেন না। তিনি উত্তরসূরী করতে পারলেন না নিজের সন্তানকে, যা অনেকেই ইতিপূর্বে করেছেন। তাই জমিদারী ধরেও রাখতে পারলেন না। যদিও তাঁর দলগত পছন্দের একটি বালক আছে, তবে সে অপক্ক অবোধ। সময় লাগবে! ও মানুষ করতে বহু কাঠ-খড় পোড়াতে হবে। এই দুর্বলতা ও অনিশ্চয়তার সুযোগে অবশেষে তাঁর সামন্তদের মধ্যে একজন ডাকনামওয়ালা পুরুষ উঠে এলেন, অধিকাংশ সামন্তদের সমর্থন নিয়ে। তিনি হৃষ্টপুষ্ট চওড়া ছাতার মানুষ! থুরি মানে চওড়া ছাতির(বর্ষার ছাতি নয়! বুকের ছাতি মানে বুকের পাটাতন)মানুষ। যেমনি তাঁর চলন, তেমনি তাঁর বলন, তেমনি তাঁর চিন্তাধারা।
ক্ষমতা হাতে নিয়েই তিনি বুঝলেন জমিদারী সম্পদ সুরক্ষিত রাখার জন্য কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে। সেই কারণে তিনি পুস্তক পাঠে মন দিলেন এবং সমস্ত বিশ্ব অধ্যায়ন করে যেদিন চীনের ‘দ্যা গ্রেট ওয়াল’ সম্পর্কে জানলেন, সেই দিনই সমাধান সুত্র পেয়ে গেলেন। প্রথমেই তিনি ঘোষণা করলেন রাজপ্রসাদ লাগোয়া সম্পদের যত ভাণ্ডার আছে, যত বিভিন্ন ফলমূলের বাগান আছে, মৎস্য উৎপাদনের পুকুর আছে, তা সকলই নিয়ন্ত্রণে এনে পাঁচিল দ্বারা বেষ্টনী দেওয়া হবে। যেন শত্রু পক্ষ ‘এট্যাক’ না করতে পারে, বা ‘নির্মল সম্পদে’ ‘অস্বচ্ছ চশমা’ লাগাতে না পারে। অর্থাৎ অবাঞ্ছিত পশু পক্ষী, পোকামাকড়ও আর চাইলেই সম্পদ ভাণ্ডারে ঢুকে গন্ধ নিতে পারবে না।
এই কারণেই চিন্তার ভাঁজ পড়েছিল আশেপাশের সমস্ত বাঁকাচাঁদমুখো সুযোগ সন্ধানীর, যাঁরা রাজপ্রসাদের বাগানে ঢুকে লুটে পুটে চেটে ঘেঁটে আনন্দে দিন কাটান। সেই চিন্তায় চিন্তিত শিয়ালের দলও, বিভিন্ন পাড়ার শিয়াল যে যেমন পেরেছে তেমন ভাবেই এতো দিন ঐ এলাকায় ঢুকে নিজেদের খোরাক জুটিয়েছে। যদি পাঁচিল দেয় তবে তাদের উপায় কি? ঝোলা ফুলবে কি করে, বা পেট চলবে কীভাবে?
রাতের আঁধারে জমিদারী বাগানে গিয়ে সেখানকার সাথীদের সাথে কয়েক বার কথা বলার চেষ্টা হয়েছে “তোমরা যারা আমাদের স্ব-জাতি, তোমরাও আমাদের ঝোল ঝালে সামিল হও না। সবাই মিলে না হয় ধর্না দেবো পাঁচিলের পাশে! আর হ্যাঁ, কথা দিচ্ছি স্বচ্ছতা নষ্ট হবেনা! মানে পাঁচিল ঘেঁষে যাতে কেউ হিসি না করে সেদিক খেয়াল রাখা হবে। আফটার অল গ্রেট ওয়াল বলে কথা, ঐতিহ্য ”!
না… তবে কাজ হয়নি। তারা জানিয়েছে ‘মূর্খের দেশে থাকো তোমরা? এতদিন তোমাদের জ্বালায় আমরাও খেতে পারিনি, এখন তোমরা ভোগ করো ধুউ..ল্লা… আমরা এখানে মজা করি গিলে রসো..গুল্লা…।’
বাঙালপাড়ার শিয়াল বলেছিল- “তবে রে, দেহামু মজা দাঁড়া! আমিও সারা এস্টেটে ঢাক পিডাইয়া সংবাদ ছড়াইয়া দিমু তোরাও চোর”।
-“কোন লাভ হবে না বলে!” জমিদারী বাগানের শিয়াল ল্যাজ নাড়তে নাড়তে বলল। আরও যুক্ত করল একটু সুর দিয়ে, “এখানে পাঁচিল হবে দিনে…। আমাদের কাজ রাতে, দিনে তো আমরা সূর্যের আলোয় ঘুঁটে দেবো না, যে পিছন থেকে এসে জড়িয়ে ধরবে ‘…মারতে!’ আর যদিও কিছু বোঝে জনগণমন কত্তারা! তা হলে বুঝবে পাহারাদাররাই এই কাণ্ড করতেছে। বুঝলে কি না..! এবার সরে পড়ো।”
বাঙালপাড়ার শিয়াল নিরাশ হয়ে ফিরেছিল এবং অন্য শিয়ালদের বোঝাবার চেষ্টা করেছে আসন্ন মহাবিপদে কথা, ঝাড়ে-বংশে নৌকা ডুবির কথা। তাই আজ চন্দ্রিমা রাতে মহাসভার আয়োজন।
চারিদিকে ঝিঁঝিঁর শব্দে কান যায়-যায় অবস্থা, দু একটা ব্যাঙ ঘ্যাঙর ঘ্যাঙ করছে। একটি ভোঁদড় বাঁশের ডগায় উঠতেই সেটা নিচু হয়ে আসে। উপস্থিত সকলেই ভয় পেয়ে যায় কোন দত্যি বেরল বুঝি। কিন্তু না ভোঁদড় সে লাল জিভ বার করে বলল ‘চালিয়ে যাও! আমিও ভুক্তভুগি! আছি দূর থেকে সমর্থনে।’
এই নিশুতি জঙ্গলে কোথা থেকে এসে একটা টিকটিকিও “ঠিক ঠিক” করে উঠলো।
ইতিমধ্যে দূরে মসজিদের মাইক শোনা গেলো। মিয়াঁপাড়ার শিয়াল বলল, “তাহলে শুরু করা যাক ইন্সাল্লাহ! সাতটা তো বেজেই গেলো মিয়াঁ।”
যাদবপাড়ার শিয়াল বলল- “তুম ক্যায়সে জানতে হো সাত বাজ গেলো? গলে মে ঘড়ি বাঁধকে ঘুমতে হো..?”
-মসজিদে ‘এসার’ আজান শোন-নাই মিয়াঁ! একটু গলা উচিয়ে উত্তর দিলো সে।
বাঙালপাড়ার শিয়াল বলল, “তাইলে শুরু কইরা দি? কি বল ভাই সব!” তারপর প্রত্যুত্তরের কোন অপেক্ষা না করেই বলল, “আচ্ছা চৌধুরীপাড়া তুমিই কও! তোমারে হইল গিয়া এই মঞ্ছের সবাপতি করলাম.. ঠিক আছে..! নেও শুরু কইরা দেও!”
চৌধুরীপাড়ার ধেড়ে শিয়াল(আসলে একটু বয়স হয়েছে তো তাই) গলা ঝেড়ে একটু ক্ষখ্ ক্ষখ্ করে তার ঐতিহাসিক ভাষণ শুরু করল- “বন্ধুগণ! আমরা এখানে কেন জড়ো হয়েছি আশা করি সবাই জানেন! তা আমাদের তো টিকে থাকতে হবে না কি? এতদিন তো চুড়ি ছ্যাঁচড়ামি করে কাটলো, এখন বুঝি তা হবার নয়! যদি সৎ-এর ঢং করে থাকতে পারেন তো চেষ্টা করে দেখুন। কিন্তু পুরনো অভ্যাস তো ছাড়া সম্ভব নয়। তাই আমাদের একসাথ হোতে হবে, লড়াই করতে হবে জিততে হবে কি বলেন সকলে?”
টিকটিকি মনে হয় দূর থেকে পরিহাস করেই আবার আওয়াজ দিলো “ঠিক-ঠিক।”
বাঙালপাড়ার শিয়াল বলতে লাগলো- “ভাইবন্ধুলোগ আমার গদি লাগবে না। আমি চাই এই নৈরাজ্য শেষ হোউক অনাচার শেষ হোউক। বাঁইচ্যা থাকতে হইলে, জমিদারীডা ঠিক রাখতে হইলে, আমাগো এক হইতে হবে! সার্বভৌমত্ব রক্ষা করতে আমাগো হাতে হাত মিলাইতেই হবে, আসো সবাই হাত মিলাই। আর ধ্বনি তুলি জয় লুট খাও’য়ের জয়।”
হাতের বন্ধন থেকে হাত সরিয়ে তেলুপাড়ার শিয়াল ঘোষপাড়ার শিয়ালের কানে শুধালো- “আচ্ছা উরা বললে যে বেঁচে থাকতে হবে বটে, তাহার লড়াই আছে! আর এখন কইতেছে সারবভমত্ত লড়াই.. ইটা কি বটে?’
এ কথা বাঙালপাড়ার কানে যেতেই আঙ্গুল তুলে নির্দেশ দিয়ে বলল, “এই মুখার্জীদা তুমি একটু বুঝাইয়া দেও তো সার্বভৌমত্বডা কি!”
সে উত্তর দিল আজ্ঞে হুম! এই বলে আবার তেলুপাড়ার দিকে চক্ষু রেখে বলল, “সার্বভৌমত্ব হলো সারবো আর ভৌ মারবো! মানে কাজ সেরে ভৌ আওয়াজ দিয়ে বেরিয়ে যাবো। কেউ বুঝবে না, ভাববে কুকুর এসেছিল।।”
একথা শুনে উপস্থিত পিঁপড়ে সাধারণ ও কীট পোকামাকড় সবাই হো.. হো.. করে হেসে উঠলো।
হাসি থামিয়ে চৌধুরীপাড়ার শিয়াল উষ্মা প্রকাশ করে বলল- “কি সব মানে বার করছেন মশাই সার্বভৌমত্ব হল সর্ব ভূমিতে আমিত্ব অর্থাৎ সব ভূমিতে অবাধ লুটে খাও। এটা যে করেই হোক রক্ষা করতে হবে।”
বাঙালপাড়া বলল- ভাইবন্ধুক্যাডারগণ তাইলে ঐ কথাই রইল, সক্কলে একসাথে লড়মু, দরকার পড়লে সবাই মিইল্যা জমিদাররে টাইন্যা হিঁচড়াইয়া নামাইয়া আনমু। কাছা খুইল্যা দিমু! আর যাতে চেয়ারে বইতে না পারে হেই লাইগ্যা পাছা কামড়াইয়া ঘা কইরা দিমু। দরকার পড়লে আমি জমিদারী.., না.. না.. থুরি মিস্টেক হইছে! (লজ্জায় দাঁত দিয়ে জিভ কেটে) আমরা সবাই মিইল্যা জমিদারী সামলামু।
একথা শুনে না না জনে উত্তর দিলো “তা ঠিক বটে”, “হ্যাঁ সাধু উদ্যোগ”, “সব ঠিক হ্যায়” ইত্যাদি ইত্যাদি।
এমন সময় নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর সেই দুঃসাহসী বিস্ময় বালক জমির পাশের রাস্তা দিয়ে মোবাইলে মেসেঞ্জারে সদ্য কপালে জোটা গার্লফ্রেন্ডের সঙ্গে চ্যাটাইতে চ্যাটাইতে ফিরছিল। সে কাণ্ড কারখানা দেখে পূর্বের সততা ও সাহস নিয়েই স্তম্ভিত হয়ে দাঁড়িয়ে ছিল ও শিয়ালদের স্পর্ধা উপলব্ধি করছিলো। সমস্ত নাটক শেষে সে বলল –“তাহলে এখানে সবাই জমিদার! তাই তো না কি?”
সবাই হকচকিয়ে যায়! ভীত হয়ে ভাবে এ সত্যবাদী আবার কোথা থেকে হাজির হলো।
-“না মানে ইয়ে! এক অঞ্চলে একটাই তো জমিদার, এক দেশে একটাই রাজা হয় কিনা তাই জানতে ইচ্ছা হলো! তা তোমরা কি সবাই জমিদার? মাত্র একজনকে তো তোমরা মেনে নেবে না! কারণ তোমাদের সকলের রূপ যে এক।
ভিড়ের মাঝ থেকে এক শিয়াল বলল- “সে আমরা দেখে নেব কীভাবে চালাতে হয়! তুমি মেলা ফ্যাচফ্যাচ করোনা তো যাও।”
-“সে যাবো। বলছি… শুনেছি জমিদার ভদ্রস্ত পোশাক পরে, সিংহাসনে বসে। তা তোমরা তো সব উলঙ্গ, আলো দেখলেই ভয়ে গর্তে ঢুকে যাও, জমিদারী চালাবে কি করে? আমার তো বড্ড চিন্তা হয় ‘আফটার অল’ আমিও তো এই অঞ্চলের মানুষ! সবাই একবার ভেবে দেখো!” এই বলতে বলতে সে দূরে আঁধারে মিলিয়ে গেলো, মোবাইলের আলোও ক্ষীণ হয়ে এলো।
শিয়ালের দল একে অপরের মুখে চাইতে লাগলো! হয়তো অন্যের চোখে নিজের চেহার দেখার আয়না খুঁজতে লাগলো হন্যে হয়ে। তখন টিকটিকিও বলল “ঠিক ঠিক এটাও ঠিক”।