জীবন সেতু
-সঞ্জিত মণ্ডল
জীবন ভ্রমণ শেষে দেখা হয়ে গেলো এসে রেলের সেতুতে। সেদিন তোমার হাতে ছিল নাকো ফুল,
বিদায়ের মিলনের চেনা সম্ভাষণ।
আধো আলো আঁধারির সেই সন্ধিক্ষণ কেমন বিষণ্ণ হল, আলো ছায়া সরে গেলে আরক্তিম হল সেই জ্যোৎস্নাসিক্ত মন।
রেলের সেতুতে জীবনের সেতু হতে দূরে বহুদূরে দেখা দিল যেন এক অতীত বুদ্বুদ!
কোনোটায় হাসি আছে, কোনোটায় গান, কোনোটায় মুগ্ধ প্রেম, কোনোটায় কেবলই দোটান!
সংসারের রক্তচোখ, নিষেধের বেড়াজাল, কখনো বা শুধুই আক্ষেপ!
সাঁতার না জানা নদী সংসার স্রোতের মত ধায় খরবেগ। দুজনের হাবুডুবু, জলরাশি চারিধার, কূলে ওঠা হয় নাকো আর-
সময়ের সন্ধিক্ষণে ভেসে যায় সমাজ সংসার।
এপারে দাঁড়িয়ে তুমি ফেল দীর্ঘশ্বাস,
ওপারে একেলা আমি দিয়ে গেছি বাঁচার আশ্বাস।