পুরুষানুক্রমে
-চিন্ময় মহান্তী
জীবনের চক্রবূহে টালমাটাল হাঁটে নিত্য পদযাত্রী
শান্তির নীড় খোঁজে উলুবনে ছড়িয়ে রাখা মুক্তোমাঝে!
সহ্যের দিগন্ত হতে শোনা যায় ঘনঘন ভারী নিঃশ্বাস,
কাঁধে তখনো জোয়ালের আকল পড়া কালশিটে দাগ
রূপান্তরিত শোণিত নিবের আগায় ক্রমাগত লিখে চলে
পাওয়া আর দেওয়ার অনু পরমাণুর হিসেব নিকেশ ।
পাওয়ার ঘর হাতড়ে দেখে বিরাজে মরুর তপ্ততা মাখা
পিপাসার্ত পথিকের চাতকের মতো করুণ বারিবেদন,
দেওয়ার ঘরে কর্ত্যব্যের উদ্দ্যাম দাবী পুরণের চাহিদা ।
এ যেন পুরুষানুক্রমে চক্রবৃদ্ধি সুদের অলিখিত দলিল
লেন্সহীন চোখে ঝাপসা হওয়া দৃষ্টি ভেজা চোখে পড়ে-
কুয়াশা মাখা কাঁচের ভেতর দিয়ে আপন অতীত ইতিহাস।
পথ তেমনই পড়ে রয় শুধু পথিক পালটে যায়-
পালটে যায় তার পারিপার্শিক দৃশ্যগুলোও,
ইতিহাসের উপর আরেক ইতিহাস রচিত হয়- তবুও
বিবেকের উপর জমা হয় পথের ধুলোর গাঢ় আস্তরণ,
মৌখিক আধুনিকতার তোরণ নির্মাণ হয় ক্রমাগত
বিবেকের অলিন্দে বয়ে যায় স্বার্থের আদিম ইতিকথা ।