“এ মৃত্যু আমার বিবেকের”
-রাজীব লোচন বালা
এ পৃথিবী – এ মানুষ সবই রয়ে যাবে , আসবেনা শুধু__
সে আমার বিবেক, আমার চৈতন্য আর আমার মনন।
মুক্তির রঙ – মুক্তির যুদ্ধ আর মুক্তির ত্যাগ- তিতিক্ষা
রয়ে যাবে সে বয়ে যাবে নদী রক্তস্রোতে মিশে বারুদের ফুঁটো দিয়ে।
মানুষ রইবে মানুষ হারিয়ে, জীবন শান্ত হবে মনটা কাঁদবে,
অশ্রু জমাট হবে একদিন হৃদয়ে খিল গাঁথবে।
কবিতার ভাষা , ছন্দ- তান সবই নীথর মলিন হবে
চারপাশ হতে বিধ্বংসী নরহত্যা লীলায় মায়ের রোদন বুক থাপরে থাপরে পরবে।
এ নদী – এ বায়ু – এ মাটি শব শুঁকোবো, মানুষ অন্য গ্রহের পিশাচ_
মুক্তি এদের সয় না , আগুন এদের নেভে না.. আছরে পরে আমার বিবেক, আমার হাত শুধুই মুখের পড়ে।
কত বেদনা সইবে আবার জাগতে হবে , জানি না কিভাবে? কোন খানে ? কার দ্বারা নিশ্চল হব আমি।
বুদ্ধিজীবিদেরও কী বলবে ওরা কি হ্যাঁ বা না করবে ?
বলি সদা সর্বদা হয়ে আসছে প্রান্তিকের , কেননা তার দায় পড়েছে!
বিস্ময়ের কিছু নেই ইহাই সত্য, এ যে উন্নতির মহাযজ্ঞ, দান দিবে না !!!
বিদীর্ণ কন্ঠ, ভাষাহীন কথা আর শব্দহীন মৌনতা আমাদের বেশ সাজে
কিন্তু কী জানেন তো এ বুলেট ! এ রক্তের ছিদ্রতা আমার বুকে হয়তো পড়েনি, নয়তো বুকের ভিতরের হৃদয় আবছা দেখতো , না হয় অন্ধ হতো।
ভাবছি হৃদয় আবার অন্ধ হয় নাকি, এ কী কল্পনা তোমার_
আবার ভাবি, মাটিতে পা রাখি এ যুদ্ধ বিবেকের আর বিবেক শূন্যের।
এ লড়াই বুকের – এ লড়াই সত্যের, হায় এ হৃদয় অন্ধে , অন্ধকারে ভরা
আলোর পাখিদের বুকে গুলি ‘তোমরা’ কোরো না।
“মা” যে বড়ই দীনদুঃখীনি, “ওরে কোথায় গেলিরে তুই” ? এ প্রশ্নের প্রতুত্ত্যরে কী হবে এ হৃদয়ে মোর জানা নেই।
কতশত বোন,হাহাকার ধ্বনি, শকুনের মতো ঝাপিয়ে পড়া শয়তানি বুদ্ধি,
দূর হতে দাঁড়ায়ে , ভাবি আছি শান্তিতে,,
নিজের গোলায় আগুন না ধরলে হাত কি থাবরায় বুকেরে।
কত স্বপ্ন- কত আশা কতই ভালোবাসা আর ইচ্ছা_
আজ এখানে আমার প্রাণের আশার সমাধি লিখন হয়ে যাবে।
না না না আর গুলি কোরো না সেই পাখির বুকে
এ কন্ঠ যে তার গাইবে সত্যের জয়গান।
সেই তার প্রেরণা, আশা মোর রক্তে বয়ে যায়-
এ মানুষ তাঁকায় ।
এ বিবেক – এ মৃত্যু আমার বুকে কি ঢেউ তুলে যায় ?