তুমি চাইলে

তুমি চাইলে
-জ্যোৎস্না ভট্টাচার্য্য ত্রিবেদী

 

তুমি চাইলে আমি ফাগুন হতে পারি,

পলাশের রঙে রেঙে  অথবা কৃষ্ণচূড়ার আগুন বুকে নিয়ে অপেক্ষায়..
হতে পারি শ্রাবণের ধারাপাত, সমস্ত সংশয় আর সমস্ত ব্যথা ধুয়ে মুছে দেবো।
হয়ত বা শরৎ এর শিউলি, অঞ্জলী ভরে দিও তুমি মায়ের পায়ে,
অথবা পৌষ এর কুয়াশা মাখা ভোরের আকাশ।
ভীষণ শীত এ নরম লেপের ওম গায়ে জড়িয়ে-

সূর্যের অলস ভীরু উঁকি ঝুঁকি দেখো তুমি।
কিংবা গ্রীষ্মে র দুপুর, হ্যাঁ তাও, তাও পারি হতে
বৈশাখ এর আম কাঁঠাল পাকা ভীষণ গরমে
বাগানে আম গাছের তলায় শীতল পাটি বিছিয়ে বসো তুমি।
বোসদের ওই বিশাল পুকুর তখন শুকিয়ে প্রায় আধখানা। কিন্তু তারই ছোঁয়ায় স্নিগ্ধ বাতাস হয়ে ঘাম জুড়াবো….
অথবা হেমন্ত রাতের ঝকঝকে এক খন্ড আকাশ।
তাও তো পারি হতে
শিশির ভেজা ঘাসের ডগা, কিংবা,

কিংবা ওষ এর চাদরে মোরা আউশ ধানের মাঠ….
হতে পারি , হতে পারি আমি এসব কিছুই
শুধু তুমি চাইলে। হ্যাঁ, শুধু মাত্র তুমি চাইলেই…

কিন্তু চাও নি কিছু ই তুমি।
শুধু নিয়েই গেছো। না চেয়েই সবটা, সবটুকু…
অথচ, আজ আমার কিছু হতে না পারার
দায় সবটুকুই আমার
আমারই অক্ষমতা ধরে নিয়ে তুমি নিশ্চিন্ত।
কিন্তু আমি তো আজ ও পারি এক বটগাছ সহিষ্ণুতা নিয়ে তোমার সব অহঙ্কার আবদার কিংবা অত্যাচার সহ্য করতে, দিনের পর দিন
হ্যাঁ পারি তো…
করিও….

তুমি জানো না, জানতে চাও না।
আসলে হয় তো ভাবো এ সব ই প্রাপ্য তোমার। নিশ্চিত প্রাপ্য….
কিন্তু তাই কি হয়?
প্রাপ্য যে আমার ও কিছু,
না না বিনিময় নয়, শুধু ভালোলাগার জন্য
ভালোবাসার জন্য নির্দিষ্ট কিছু উপকরণ
হয় না কি আমার পাওনা..!
ভাবো তো, একবার অন্তত…

Loading

2 thoughts on “তুমি চাইলে

Leave A Comment