কবিতা

“নারীর স্বতন্ত্রতা”

“নারীর স্বতন্ত্রতা”
-সুমিতা পয়ড়্যা

 

নারী নাকি মাতৃরূপেণ সংস্থিতা।
নারী নাকি শক্তিরূপেণ সংস্থিতা।

তবে নারী কোনো পণ্য সামগ্রী নয়।
তবুও তাকেই বিক্রি হতে হয়।
যত লাঞ্ছনা, যত গঞ্জনা আরও আছে যত
নারীই শুধু সহ্য করবে–আছে আপমান তত।
নারী কারোর মেয়ে, কারোর মা,
কারোর স্ত্রী কিংবা কারোর প্রেমিকা;
নারীর নিজস্বতা কোথায়!
নারীর স্বতন্ত্রতা কোথায়!

নারী মানেই কি কোন এক বন্ধনে আবদ্ধ থাকা?
যত যন্ত্রণার শিকার হয়েও চুপ করিয়ে রাখা!
সত্যিই কী নারীর কোন ইচ্ছা থাকতে নেই!
শুধুই অনাদর অবহেলায় বড় হতে হয়!
কর্তব্য নিয়ে বেঁচে চক্রাবর্তে জীবনটাকে গড়ানো
দায়বদ্ধতার শিকলে আষ্টে-পৃষ্ঠে জড়ানো।
সম্মান সত্ত্বার কোন অস্তিত্বই নেই, শূণ্যটাই শুধু বাকি,
সমাজে নারীর ব্যক্তিত্ব মূল্যহীন, সবটাই ফাঁকি!
অবক্ষয়িত সমাজে নগ্নতার উল্লাসে মত্ততা জাগে চারপাশে–
বিলাসের সঙ্গিনী নারী জাতি বিরাজিত শুধুই উপহাসে!
নারীর স্বতন্ত্র সত্ত্বার উন্মীলিত রূপে
বহু যুগান্তরের পরেও অসম্মানিত,রয়েছে কূপে।
অবজ্ঞা,সন্দেহের বশে শোষিতের দলে;
প্রতিবাদী প্রতিভা সম চরিত্রও অবহেলিত প্রতি পলে পলে।
শত শত বর্ষ পরেও সত্যিই কি নারীর কোনও স্বতন্ত্রতা নেই?
স্বতন্ত্রতা কি থাকবে শুধুই পুরুষতান্ত্রিক সমাজে পুরুষের অঙ্গুলিহেলনেই !

Loading

Leave A Comment

<p>You cannot copy content of this page</p>