কবিতা

নারী স্বাধীনতা একাল সেকাল

নারী স্বাধীনতা একাল সেকাল
-শচীদুলাল পাল

 

আমি সেই নারী যাকে বোন,মাদুর্গা বলো,
সৃষ্টির মূলে আমি দেখিয়েছি জগতের আলো।
সভ্যতার আলোতে হয়েছি নির্যাতিতা,ধর্ষিতা।
চেনা অচেনা, আত্মীয়স্বজন দ্বারাও বিশ্বাসঘাতকতা।
প্রেমিক যাকে দিলাম মনপ্রান সেও পাওনাদার,
সে বলে মন নয় তোর শরীরের সবটায় আমার পূর্ন অধিকার।
ছাঁদনাতলায় অতিথিদের সামনে সারাজীবন সুরক্ষিত রাখার অঙ্গীকার ,
শরীরের আগুন নিভলে টাকার চাপ অনাদায়ে মার, অকথ্য অত্যাচার।
সারাজীবন খাইয়ে শারিরীক চাহিদা মিটিয়ে যদি না হয় সন্তান,
তুই বাঁজা,অলক্ষীমন্ত,সব দোষ তোর,তোকে বর্জন।
জন্মাচ্ছিস কন্যা বারবার, চাই পুত্রসন্তান,
দোষ তোর, মর নাহলে কর পলায়ন।
আদরের নামে আপনজন, ঘরে বাইরে পুরুষদ্বারা লাঞ্ছিতা ধর্ষিতা। পুরুষশাসিত সমাজে এ কোন আধুনিকতা?
প্রথমে বাবা মাঝে স্বামী শেষে পুত্র বা জামাই এই তিন পুরুষ।
ঘরে নেই স্বাধীনতা, মনে বড়ো রোষ।
রাত আটটা বাজে মায়ের ফোন “কিরে কখন ফিরবি”?
অবক্ষয় সমাজে নারী স্বাধীনতা নিয়ে কি করবি?
স্বর্ণমুদ্রা হাতে নির্জন গহন বনপথে যুবতী প্রফুল্ল একাকিনী,
মা সম্বোধনে সাহায্যে এগিয়ে ডাকাত পাঠক ভবানী।
মাহেশের রথ থেকে অবিক্রীত মালা হাতে বালিকা একাকিনী,
আঁধার রাতে পিছল পথে অক্ষত ফিরবেনা আজকের রাধারানী।

Loading

3 Comments

Leave A Comment

<p>You cannot copy content of this page</p>