সম্পর্কীয়
-সুজিত চ্যাটার্জী
সম্পর্কগুলো অচেনা , আন্তরিকতা বিহীন
চুক্তিবদ্ধ দায় পালন।
যেন ভাড়াটিয়া বাড়ীওয়ালা,
এ বাড়ী পছন্দ নয়
পছন্দসই বাড়ী পেয়েছি, চললাম,
হিসেব বুঝে নিন। সম্পর্ক শেষ।
কখনো দেখা হয়ে গেলে পথে ঘাটে
মুচকি হাসতে পারেন, নাও পারেন
বয়েই গেল তাতে,
ফেলেছি কড়ি, মেখেছি তেল
কে হে তুমি সম্মুন্দি।
হ্যাঁ, উপকার কিছু নিয়েছি,
পোয়াতি বউ, কচি বাচ্ছার অসুখ
টানাটানি তে টাকা ধার,
এইসব টুকটাক। এ এ এ আর এমন কি
একজায়গায় থাকতেএ এ গেলে, ধুউস।
যাত্রী নামিয়ে, ট্যাক্সিটা চলে গেলো
মিটারের টাকা বুঝে নিয়ে, হুউস।
সম্পর্ক শেষ।
ড্রাইভার কখনো যাত্রীর
নাম ঠিকানা জানতে চায়না,
চায় গন্তব্য জানতে
সেখানেই তার হিসেবের বাসা।
কে চায় ট্যাক্সি ড্রাইভারের হাঁড়ির খবর,
চুক্তি শেষ, সম্পর্ক টাটা বাই বাই।
পৃথিবীর সব সম্পর্কই যদি এমন হয় !
ঘরে ঘরে, রক্তে রক্তে, কুটুম্বিতায় ??
যদি কেন,, এমনই হ্যাঁ এমনই হয়।
রত্নাকর কাল থেকে অদ্যকাল,
সম্পর্কের ঠুনকো ফিতে
হিসেবের খেরোর খাতায় বাঁধা।
কেননা সব মানুষই মনেমনে ব্যবসায়ী।
আন্তরিক শুভেচ্ছা ভালবাসা।
আমার লেখা যদি পাঠকের ভালো লেগে থাকে, আমি ধন্য। সমস্ত পাঠক দের আমার আন্তরিক ভালবাসা জানাই। পলাশ ফাগুনে ফাগ শুভেচ্ছা।
সম্মৃদ্ধ একটি কবিতা পড়লাম আপ্লুত হয়ে l
অভিনন্দন সুজিতদা l