অনামিকা

অনামিকা
-পার্থসারথি ঘোষাল

 

ফিকে হয়ে আসা অস্তালোকে তোমার রেশমী চুলের ঘ্রাণে আসে বসন্ত —-অকালবোধন।
তোমার বক্ষলালিত্যে অতল সাগর আর কোমল সজল চাহনিতে দেখেছিলেম লক্ষ আশার ঢেউ—-থর থর কেঁপে ওঠা উরু যুগলে ছিলনা ছলনা,ছিলো শুধু অনন্ত আদর– যত্নে,অতি যত্নে রক্ষিত।জানি যুগ যুগ ধরে তুমি অভিসার পটীয়সী প্রিয়া।
তোমার সুকোমল বাহুযুগলে আছে এক প্রশস্ত উন্মুক্ততা—ভলগার স্পর্শ পাই সেখানে যেন।
তোমার সুঢৌল নিতম্বে দেখি অন্য কোনো অজানা গ্রহের উপস্থিতি –স্থির এবং স্পষ্ট।
মাঝে মাঝে মনে হয় নারীর আকারে তুমি পুরুষ অপেক্ষাও শক্তিশালী ও সুন্দর।
তাই তোমাকে লিঙ্গাতীতা বলি।
তোমার ভাবাবেশে ষড়ঋতুর আনাগোনা–প্রকৃতির আদ্য-মধ্য-অন্তও তুমিই।
তুমি সৃষ্টিবিলাসের স্বপ্নে যখন মোহগ্রস্তা থাকো —-তোমাকে ঘিরে থাকে তখন এক ত্রিভূবন বিজয়িনী মায়া যা তোমার প্রকৃত রূপ গোপন করে রাখে।
তোমার চরণযুগলে অলক্তক রেখায় এক সন্দেহ জাগে–দিগন্তরেখা কি!
তুমি মূহুর্তে পরিবর্তন করো তোমার অস্তিত্ব –শরীরী বা অশরীরী।
চোখের সামনে দেখি তোমাকে অপরূপা–নৈসর্গিক সৌন্দর্য রাশি ঢেলে সাজানো ঈশ্বরপুত্রী—আচ্ছা তুমি কে গো? কি নাম তোমার?

Loading

Leave A Comment