ধর্ষক সমাজ
-সত্যদেব পতি
অত্যাধুনিক সমাজের কুশীলব আমরা সবাই,
কখনো বিষয় বিশ কখনো ধর্মের তকমা-
সমাজ বিবর্তনের কান্ডারী সেজে কেউ করছে ধর্ষণ নিজের বিবেকের।
কোথাও চলছে অরাজনৈতিক চেতনার বলিদান
নারী পুরুষ নির্বিশেষে;
এই সমাজে এখন নগ্ন ছবি ক্যালেন্ডার দিয়ে সাজানো হয় সম্পর্কের বাসর!
যাত্রাদলের কুশীলব হয়ে প্রেম অভিনীত হচ্ছে মনের রঙ্গ মঞ্চে ;
বিশ্বাসের দড়িতে মোমের প্রলেপ একটা আগুনের ফুলকি নিমেষে জ্বালিয়ে করে দাবানল।
সময়ের কসাঘাতে বিদীর্ণ করে আপন অস্তিত্ব,
দুরের আলো দেখে সবাই ছুটছে লক্ষ্যহীন ভাবে-
চোখের সামনে পুড়ে যায় মানবিক মূল্যবোধ!
বেইমানী তার শানিত ছুরি দিয়ে গলা কেটে যায়
মনুষ্যত্বের।
বিলাসী মনে পরশমনী ছোঁয়া পেতেই উতলা,
সন্ধ্যা প্রদীপের আলোতে যেমন পতঙ্গ করছে প্রাণপাত-
সবকিছু বুঝেও নিজেকে করছে আত্ম বিসর্জন ;
বড়ো জানতে ইচ্ছে করে সত্যি কি আমরা ভালো আছি শান্তিতে আছি?
নাকি আমাদের সৃষ্ট সমাজে নিজের অস্তিত্বের লড়াই করতে গিয়ে নিজেদের ধর্ষণ দেখছি প্রতি মূহুর্তে….
নিজেকে আড়াল করে রেখে অন্যদের বলছি ধর্ষক;
আর দোষারোপ করছি দৃষ্ট সমাজকে।