আলোকিত সমাজ
-তোফায়েল আহমেদ
অহংকারী ঘুষখোর সুদখোর কৃপনের ধন
অসুখে খায় গরীবেরা নাহি পায়,
গরীবের ভালোবাসাই প্রকৃত, কোন ভেজাল
নেই, গরীব সদা সুহাসিতে তাকায়।
গরীবের দুঃখ কষ্ট বেদন ধনী লোক বুঝেনা
দূর ছাই মানসিকতায় তাকায়,
গরীবদের তারা নোংড়া আবর্জনার মত ভাবে
সুযোগ পেলে গালি মন্দে শাঁশায়।
বড় লোক মনে করে গরীবরা সমাজের ময়লা
তিক্ত বিরক্তির বোঝা যত,
গরীবের পোশাক ভালোনা,নিম্ন জীবন যাপন
শুক্রবারের খয়রাতের মত।
ধনীরা চাইনিজ খায় পরিবার সহ গাড়িতে করে
অর্ধেক খায় অর্ধেক খাদ্য ফালায়,
এটা নাকি আধুনিক যুগ, এভাবেই খেতে হয়
টিস্যু মুখে ঘষে সিগারেট জ্বালায়।
বড়লোকদের দেমাগ বড়াই ভাব খানা দেখলে
মনে হয় সে-ই মানুষ, অন্যেরা চাকর বাকর,
টাকা থাকলে শিক্ষা তুচ্ছ, ক্লাবে সম লোকের
সাথে মদ নারী নৃত্য জুয়া খেলার চলে আসর।
কি করে তারা এত টাকার পাহাড় গড়ে ধনী
লোক হলো সহসাই ভাবলে বুঝবেন,
তাদের আছে অবৈধ ব্যবসা, রাজনীতির ছায়া
আইনের সহযোগিতা নিরবে জানতে পারবেন।
তাদের ছালাম না দিলে বেয়াদব বলে, তারাই
সমাজের সব মন্দ কাজ করে থাকে,
বিচার সাজিয়ে পাবলিক বুঝায় আমিই সমাজ
পিতা, তোমরা ভালোবাসো শ্রদ্ধা করো আমাকে।
গরীব সাধারণ মানুষ সারাজীবন গরীব ও সৎ
থাকে, সব দেখে কিছু ভয়ে বলেনা বাহ্যিক চলন,
অন্তরে তাদের ঘৃনা করে অমানুষের মত, তাদের
মৃত্যু দ্বন্ধে হয়, ভুক্তভোগীর অন্তরে খুশির বলন।
সব ধনী- গরীবের বিরাট বৈষম্য দূর হোক,সম্পর্ক সমাজ সংস্কারী মন ভালোবাসা জাগ্রত হোক,
সমাজে ন্যায়ের পতাকাতলে শিশুর ভবিষ্যৎ হাসুক
সমস্ত কুসংস্কার অন্যায় মন্দ নিপাত যাক।
সহানুভবতা সু সম্পর্ক, শিক্ষা, খাদ্য, অন্য বস্র,দান
চিকিৎসায় মানবতার আচরণ করি,
আমরা সবাই মানুষ হিংসা বিদ্বেষ ছোট বড় ভুলে
মিলে মিশে শিক্ষিত আলোকিত সমাজ গড়ি।