হ্যাঁচকা টান
-সত্যদেব পতি
কতোদিন হলো কৃষ্ণচুড়া পাগড়ি পরেনি,
মাটির ওপর একপায়ে করছে অনাদি অপেক্ষা!
সে একদিন আমাকে চুপি আরে একটু রং চাইলো-
অবাক হয়ে বলেছিলাম আমি দেবো?
তার আনত প্রশাখার পরশ দিয়ে বললো হ্যাঁ তুমি।
প্রতি দিন সকালে ঘুম থেকে উঠে বিছানায় তার গন্ধ পাচ্ছি সেই দিন থেকেই,
সবুজে অবুজে মেলামেশা ;
আমি যখন তার ঘন ছায়া নীচে স্নান করি সে আমাকে সলাজ চোখে লুকিয়ে দেখে!
কনো
কোনো এক বসন্ত দুপুরে নির্জনে চায় আলিঙ্গন।
রাতের আকাশে চাঁদের জোছনা ঝালর যখন তাকে সোহাগ করে তখন আমার মনে কষ্ট হয়,
আমি ভাবি সে আমার একান্ত জোছনা ছোঁবে কেন?
অভিমান করলে সে বুঝতে পেরে বলে নিজেকে বিশ্বাস করো তৌ!
রাতের স্বপ্ন পোড়ায় মন।
আমার দেখা স্বপ্ন সেও দেখে নির্ঘুম চোখে,
বিনিদ্র রজনী প্রাতে সে বলে আমি কি তোমার ঘরে আসতে পারবো কনোদিন?
কেন নয় সেওতো জীবন্ত প্রাণ খুলে শ্বাস নেয়;
ঐ গাছটা সেও একটা ভালোবাসার কথা বোঝে-
সেও বলে মনে হয় কোনো এক আদিম বাতাসে ভর করে হ্যাঁচকা টানে ছিড়ে ফেলি সমস্ত শিকড়।
একঝাঁক লাল ফুলের সৌরভ নিয়ে ছুটে যাবে আর একটা গাছের কাছে মিলিত হবে দু’জনেই…