Site icon আলাপী মন

দেবে একটা আকাশ কী উপহার?

দেবে একটা আকাশ কী উপহার?
-সুজাতা দাস

 

একটা আকাশ কী উপহার পাওয়া যাবে-
যেখানে থাকবে শুধুই প্রশান্তির ঘনঘটা-
যদি তুমি রাখো নতুন দিশা-পথের শেষ প্রান্তে- হঠাত্-আপাতভাবে উড়তে চাওয়া মনটা-
ডানা মেলতে চাইবে-দিক্বিদিক পথ ছাড়িয়ে-
ভেজা মাটির গন্ধটা-হঠাত্ নাকে এসে মন খারাপটা বাড়িয়ে দেবে হয়তো-ছুঁয়ে দেখতে মন চাইবে হালকা হাতে-।
উড়তে থাকা মেঘের আস্তরণ ভেদ করে-আরও আরও উপরে-অদেখাকে দেখার এক আশ্চর্য নেশায় মেতে থাকা-
ফিসফিস অনেক অধরা কথারা-বলতে চাইবে অসময়ে-
নিজের মতো করে পুরোটাই-
কেমন যেন এক মন খারাপের সকালে-হাত ছুঁইয়ে যাওয়া- কিছু বৃষ্টির ফোঁটা- মনটাকে প্রশান্তিতে ভরিয়ে দিতে চাইবে-
হঠাত্ আকাশের একদিক থেকে আরেক দিকে-ছড়িয়ে থাকা রঙধনুর ঐ রেখাটা- নিজের সাত রঙ ছড়িয়ে হেসে উঠতে চাইবে-কোনও অলস মূহুর্তে-
তুমি দেবে কী-একটা আকাশ উপহার আমায়?
যেখানে প্রচন্ড ঝঞ্ঝার পর-এক আঁচল মেঘেদের মেলা- হেসে লুটোপুটি খাবে আমার সাথে-
যেখানে অজস্র তারাদের ভীড়ের মাঝেও-আলাদা করে খুঁজে পাওয়া যাবে- আমার সত্ত্বাকে নতুন করে-
যেখানে খুঁজে পাওয়া যাবে-সহস্র সহস্রাব্দের জীবনী-যা তুলোট কাগজে লেখা-রাখা আছে সযত্নলালিত হয়ে লাল শালুতে-যেখানে আজও হয়তো প্রতিনিয়ত শব্দের অর্থবহ সংলাপে-লেখা হবে জীবনের অনেক অজানা তথ্য-এক আকাশ তারাদের মাঝে-
হঠাত্ অজস্র আলোর রোশনাই-দুচোখের তারাতে এক অদ্ভুত দর্শন নিয়ে এলো-
নিকষ কালো মেঘের বুক চিরে ছুটে চলা এক ধূমকেতুর লেজের মতো-এক গুচ্ছ সাদা বকের ডানার উপর-অরুনের শেষ আলোর ঝলক- উচ্ছলিত আনন্দে ভাসিয়ে নিল-
সমস্ত চরাচর হেসে উঠেছিল এক নতুন ভাবনার আলেক্ষে-যা তোমার উপহার না দেওয়া সত্ত্বেও-শুধু আমারই হয়ে রইলো-শুধু একটা আকাশ-

Exit mobile version