অনাচার
-তোফায়েল আহমেদ
বাহির মসৃন রুপে সামাজিক ভেতরটা কালো মলিন
অপরাধের রকমারী পাহাড়,
চলনে বলনে মধু কথনের উপকারী সহায়ক মিতালী
স্বার্থহীনে চলেনা চরণ তাহার।
সমাজ সংস্কারক নামে প্রকাশ বিকাশ ধারায় চলমান
তাদের সাধারণ জন প্রীতি লুপ্ত অধরা,
গোপনে অন্ধকারে অপরাধের ভাতা পায় নিমিষেই
তাদের শক্তিতেই চলে মদ জুয়া মাদক পারা।
গরীবের বিচার ধনীরা করে গরীব মারে অন্যায় ধমকে
অর্থের খেলায় তাদের চলে নিরব দৌড়,
ছায়ার মানুষ কায়া বদলায় নকল সানাই বাজায় ক্ষণে
মিথ্যে মায়া মমতায় কখনো মানবতার সুর।
অমানুষের হিংসা বিদ্বেষ অহংকার মন্দ প্রতিযোগীতা
প্রতিদ্বন্দ্বীতায় নিরহ মানুষ মরে,
ছলা কলা কৌশলে শক্তির অন্ধ মোহ দাপটে ভয় ভীতি
দেখিয়ে থাকে উঁচু সমাজপতির ঘরে।
কত লোক ভিক্ষে করে করুণার জল ঐ ধনীর দুয়ারে
বিনীত মানসে অবহেলায় ঝরায়,
হিসাব নেই স্বাধীন দেশে মৌলিক অধিকার হারাদের
এসব নাগরিকের,দূর ছাঁই মনে তাড়ায়।
কত শিক্ষা বঞ্চিত লাঞ্চিত পথ কলি ময়লায় গর্ত করে ক্ষুধার জ্বালায় খাবার খোঁজার চলে আর্তনাদ,
সমাজপতি সেজে কর্তব্য না করে বিলাসে বসে হেসে দৃশ্য দেখে ঘৃণা করা নয় কি অপরাধ?
কত বস্তিতে মৃত্যুর সাথে আমেনা লড়াই করছে অভুক্ত, অসুখে তার চিকিৎসা নেই রোদন সমাচার,
সমাজ, রাষ্ট্র চলছে তাদের ভূমিকা বর্ণনার গানে গানে
ভাবেনা দরিদ্র্য আমেনাদের চিকিৎসা দরকার।
চলমান আচার আচরণে কথনে বলনে কত অনাচার
চাকচিক্য অহমিকায় দাপটে ঘুরে,
ভিক্ষের থালা পতি ভাগ দিতে হয় হুকুমে লালনকারী
কর্তাকে,নহে দূরে, আছে এই শহরে।
চুরি ডাকাতি করে তার একটা বিরাট অংশ দিতে হয়
গোপনে মদদ দাতা ও আশ্রয় প্রশ্রয়কারীকে,
লোক দেখানো সভা ডেকে চুরি বন্ধের সংবিধান করে ধরা পড়লে আইনের কথা বলে ছাড়ায় অপরাধীকে।
জোর যার মুল্লুক তার অস্রবাজি চাঁদাবাজি ধান্ধ্যাবাজি
নেশার মরণ কামড়, নিপাত দরকার, সব অনাচার।
মানুষের মনে জাগ্রত হোক অপরাধ যুদ্ধ দ্বন্দ্ব অনাচার মুক্ত পৃথিবীর সৃষ্টিরা শ্রেষ্ঠ মানুষ জাতির এক পরিবার।