ফরমান

ফরমান

-অমল দাস

 

তোরা জ্বালবি আগুন জ্বালনা দেখি, আপন ঘর গৃহস্থ জ্বাল;

অন্যেরটায় প্রমোদ করিস!নিজের লঙ্কায় দেখতো কেমন ঝাল।

নীল বিষাক্ত করলি সমাজ, এথা রক্তবীজের বহুত সম্মান;

তোরা বিরোধ কথা শুনতে নারি, দেখাস ঔদ্ধত্যের ফরমান।

রক্ত চক্ষু করনা যত পারিস! ফেল না ফেলবি কত লাশ;

পাছা একদিন পড়বে নালায়, পচবি আর ফুটবে সেথা ঘাস।

ওরে খয়রাতি আর ভিক্ষাবৃত্তে তোরা বেজায় কিনলি নাম,

আসলে পিছদুয়ারে ভরলি ঝোলা, আমরা মিটাচ্ছি যার দাম।

একি এক মগের মুলুক!সব পোশাকে তোদের ইচ্ছে মত রঙ,

আমাদের কৃষ্টিরা সব কৃচ্ছ্রসাধনে কক্‌টেল পাত্রে ঝুলছে বং।  

শত্রুর মৃত্যু শোকে তোদের বুক ফেটে আসে আত্মহাহাকার;

যে প্রাণটা যায় তোদের নলে, ঢেকে দিস  তার সর্ব সমাচার।   

তোরা শিল্পী সবাই তবু শিল্প নেই, আছে উন নয়নে ভাঁওতা;

তোদের আগ্রহতে কুর্সি আর সময় বুঝে কোষাগারে মৌতা(ত)।  

হয়তো পাঁচ বা আর এক দশক এ জমিতে আহ্লাদে কর চাষ

চষতে চুষতে মৃত্যু হবে! এখানেই বাড়বে ঘাটে নেওয়ার বাঁশ।

 

Loading

4 thoughts on “ফরমান

Leave A Comment