কবিতা- খনিজ তৃষ্ণা

খনিজ তৃষ্ণা

-অমল দাস

 

একলা পথের নেই ভুবনে সবুজের নেই কোন চিহ্ন,

সব ঠিকানা এক যেখানে সেখানে চিন্তারা খুব দীর্ণ।

যখন নিরুত্তরের নীল দরিয়ায় শৈবাল রূপে ভাসি,

তখন অর্থাভাবে সাজানো শব্দগুলো পান্তার মত বাসি।

লঙ্কা পেঁয়াজে সেই সকালে স্বাদ নেওয়ার এক চেষ্টা,

জিভে লেগেই শব্দগুলো মেটালো গভীর কাব্য তেষ্টা।

ফেলা দেওয়া রাতের টুকরো কাগজ প্রভাতের নক্ষত্র,

জুড়ছি বসে সপ্তঋষি দিলাম জলে প্রেমের লেখা পত্র।

পাখির কূজন বিষাদ লাগে মিশে রক্ত শিশুর কান্না,

সরল পথের ছন্দ থামে যেখানে জাত-কুজাতের ধর্না। 

রোজ এক প্রকৃতির আঁকছি ছবি শতেক রূপ লাবণ্য,

ধ্বংসস্তূপের ধুলোর ধোঁয়ায় মন খুঁজছে কিছু অন্য।

পাহাড় নেমে বাতাস বয়ে নদীপথে সমুদ্র শেষ প্রান্ত,

দেখছি জীবাশ্মের কি ইতিহাস বিলুপ্তরা কয়টি জীবন্ত।

বরফ শীতল উপত্যকায় গভীর ভাষা তত্ত্বের সন্ধান,

তীব্র তীব্র নিন্দা লিখে কলমের পাতার’পর প্রাণ দান। 

অনেক ভাবি সাম্য ধম্ম অষ্টরম্ভা লোলের কুরুক্ষেত্র,

সব রঙ চরিত্র ধৃত-গান্ধারী,আজও বন্ধ জ্ঞান নেত্র।

প্রান্ত ধরে এক-একটি বর্ণে গড়ি ভীষ্মের শর-শয্যা,

অন্তমিলের খনিজ তৃষ্ণা জলে শ্রান্তিতে অস্থি- মজ্জা।

 

 

 

 

Loading

4 thoughts on “কবিতা- খনিজ তৃষ্ণা

  1. জীবনের প্রতিটি অনুভূতিতে কাব্যের অনুসন্ধান… চলতে থাকুক এই তৃষ্ণা। আমরা সমৃদ্ধ হতে থাকি। শুভকামনা রইলো

    1. আপনার মন্তব্যে আমি আবেগ আপ্লুত, অপার মুগ্ধতায় ভালোবাসা রইল আপনার জন্য।

Leave A Comment