মুখ্যমন্ত্রী , আপনি কি শুনছেন ?
– অমরেশ কুমার
মুখ্যমন্ত্রী , আপনি কি শুনছেন ?
আমরা, শিক্ষিত যুবসমাজ বলছি ……
মুখ্যমন্ত্রী , আপনার আন্দোলনে আমরাই ছিলাম আপনার পাশে, মানে আমাদের বাপ-কাকারা; তারাই রক্তক্ষয়ী সংগ্রাম করে আপনাকে সিংহাসনে বসিয়েছে। কেননা তাদের লক্ষ্য ছিল পরিবর্তন, উদ্দেশ্য ছিল কর্মসংস্থান ।
মুখ্যমন্ত্রী, মনে আছে তো সে সব কথা ? গ্রাম গঞ্জের প্রতিটি বাবা মা বলতেন, “আমরা তো বেঁচে আছি কুকুরের মতো, যে দিন জোটে সে দিন খাই; তাই আমার রক্ত ঘামে পরিবর্তন হয় হোক তবু আমার সন্তান যেন কারো কাছে হাত না পাতে, তাই দরকার সরকারের পরিবর্তন, দরকার কর্মসংস্থান।”
মুখ্যমন্ত্রী, ভুলে গেছেন নিশ্চয় সেদিনের রক্তঝরানোর ইতিহাস, নাকি ভোলার চেষ্টা করছেন? ভাবছেন মানুষ সব ভুলে যাবে! ভাবছেন ইতিহাস হয়ে যাবে;
কিন্তু, ইতিহাস ভবিষৎ বানায়, ইতিহাস অতীত লড়াইকে বাস্তবে রূপ দেয়।
আমরা শিক্ষিত যুবসমাজ, আমাদের শরীরেও বইছে সেই একই আন্দোলের রক্ত।
আপনার উন্নয়ন হলো সস্তার পাইয়ে দেওয়ার দু’টাকার রাজনীতি, যে উন্নয়ন দেখতে রাস্তায় নামতে হয়। আপনার উন্নয়ন অনুদান, আপনার উন্নয়ন বিভাজন, আপনার উন্নয়ন রোগে জরাজীর্ণ রাজ্যের মানচিত্রে বাহারি রং লাগিয়ে বিশ্বের সামনে তুলে ধরা। হাসপাতাল আছে ডাক্তার নেই, স্কুল আছে শিক্ষক নেই, সরকারি দপ্তর আছে আধিকারিক নেই; কলিংপঙ থেকে কোলকাতা বিজ্ঞাপনে বাংলা ঢাকা। নবান্ন থেকে কর্পোরেশন ভোট ব্যাংকে দু’টাকায় রেশন। পিতার রক্ত ঝরানো ঘামের মূল্য চক্রান্তে ছেলেকেও দাঁড়াতে হচ্ছে অনুদানের লাইনে।
কিন্তু, আমাদের বাপ- কাকারা ছিলতো অশিক্ষিত, তাও লড়াই চালিয়ে গিয়েছে; সেই একই লাইনে আপনি শিক্ষিত হয়ে দাঁড়িয়ে। পিতার লড়াই ছিল কর্মসংস্থান এর জন্য, পারেনি তা এনে দিতে কিন্তু আপনাকে করেছে শিক্ষিত। তাইতো আপনার লড়াই এবং দায়িত্ব আরো বেশি পরবর্তী প্রজন্মের জন্য। প্রাথমিক উন্নয়ন বলতে বোঝাই শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও কর্মসুনিশ্চয়তা, যাতে সমাজে মানুষ সুষ্ঠ ভাবে জীবনযাপন করতে পারে। যা এখনো মুখ্যমন্ত্রীর কাছ দিয়ে আশা করা মানে “সোনার পাথর বাটি” আশা করা। তাই সময় হয়েছে যুব সমাজের অধিকার যুব সমাজের বুঝে নেওয়ার ।।
( শিক্ষিত বেকার যুবসমাজের আমিও একজন ; আমি অমরেশ কুমার )