শিল্প সৃষ্টি করে সুরব্রহ্মের সঞ্চারী
-সত্যেন্দ্রনাথ পাইন
শিল্প একটা সুযোগের সংকেত, একটা সাংগীতিক কথোপকথন এবং অনিবার্য সম্ভাবনার গবেষণা। তাই যা সুন্দর কিছু তাকে please, which is good always hold and then you get Gold.
গণিতাঙ্ক নয়, উপলব্ধি এবং অনুভূতি সাপেক্ষ অভিপ্রায় হোল শিল্পের নান্দনিকতা।হৃদয় দিয়েই প্রেমের হৃদয়বৃত্তি—সেখানে তীক্ষ্ণ অঙ্কশাস্ত্র যুক্তি মানে না। কেননা, হৃদয় সকল কিছুর উর্ধ্বে। ধর্মকথা বা শাস্ত্রকথা সেখানে সাংকেতিক মাত্র ;চাপানউতোরের ধার ধারে না।
” সৃষ্টি সুখের উল্লাসে” মানুষ নতুনের পূজারী। শিল্প সেথায় বহমান সময়ের পরিবর্তিত রূপ বা বিবর্তন। এই বির্বতনই সৃষ্টি করে সুরব্রহ্মের সঞ্চারী। কোন্ টা ভাল বা কোন্ টা মন্দ কিংবা কেন তা শিল্পী নিজেই জানেনা। সচেতন শিল্পী কখনোই জনপ্রিয়তার স্রোতে জাল ফেলতে চায় না।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সচেতন ছিলেন কিনা আমার অন্তঃত জানা নেই। তবু তাঁর অঙ্কিত শিল্প, সংগীত, সুর বাঙালির হেঁসেলেও পৌঁছতে পেরেছে অনিবার্যতায় এবং মননের কথোপকথনের প্রবাহে।।
শিল্পের অভিজ্ঞতায় অতিরিক্ত স্বাচ্ছন্দ্য হোল আত্মতৃপ্তি এবং আত্মবিশ্বাস।।
কোনো আবিষ্কার বা গবেষণা শিল্প হয় তখনিই শিল্পীত মনের নিঃসন্দেহ বিশ্বাসের সংজ্ঞায়।
সময়, সুযোগ শিল্প এবং শিল্পীকে প্রভাবিত করে। প্রতিভা সেখানে যেন ভয়ংকর রূপে শাশ্বত। বালুচরে শিল্পীত ছবি যেমন সমুদ্রের ঢেউয়ে অতি সহজেই ভেসে যায়– প্রতিভাও সেখানে হারিয়ে যায়। নান্দনিক চেতনা উচ্চস্তরে পৌঁছতে পারে না। তবু ও সেটা অসাধারণ অনিবার্য সম্ভাবনার দিশা দেখায়। অনিশ্চয়তা বাসা বাঁধে মাধুর্য হীন কলঙ্কের ছোঁয়ায়।
প্রকৃত প্রতিভা হারিয়ে যায় পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে নকল শীলমোহরে।ময়ুরের কদর কমে–ঐ ময়ুরপুচ্ছধারী কাকেদের দাপটে। শিল্প হারায় না বটে কিন্তু প্রকৃত শিল্পীর প্রতিভা কদর পায় না। আর তাই-ই অনিবার্য উপলব্ধি অনুমতি হীন হয়ে ত্রিশঙ্কু জীবন যাপন করে।