তবুও বলো ভালোবাসি
-সোমা বৈদ্য
কতই তো বলো “ভালোবাসি ভালোবাসি ভালোবাসি,
এক আকাশ ভালোবাসি”।
অথচ জানোই না ‘ভালোবাসা কাকে বলে
ভালোবাসার গভীরতা কেমন হয়?
কতটুকু বা চিনেছো ভালোবাসাকে
কতটুকুই’বা বুঝেছো ভালোবাসাকে
কখনো দেখেছো হাসির আড়ালে লুকিয়ে থাকা চোখের জলকে
কখনো দেখেছো এক বুক কষ্ট’যন্ত্রনা লালিত হচ্ছে
পাহাড় সমান তোমার আড়ালে।
কখনো দেখেছো রাগের মাঝে বিন্দু বিন্দু জমে থাকা অভিমান
নাকি কখনো বুঝেছো অভিমানের আড়ালে লাকুনো ভালোবাসা কে।
তুমি তো ভালোবাসার মাঝেই শরীর খোঁজো
শরীরের ভাজে ভাজে উষ্ম ছোঁয়াকে ঠোঁটের রেখাকেই ভালোবাসা বলো।
তুমি তো জানই না ভালোবাসা কতটা প্রবিত্র মনের হয়।
কত প্রবিত্রতা আছে তার মাঝে।
কখনো দেখেছো নীরবতার মাঝে লুকিয়ে থাকা ‘অপেক্ষার প্রহর কাটে।তা দেখোনি।
তবুও বলো, “ভালোবাসি ভালোবাসি ভালোবাস।
আমার চোখে নাকি মায়া টান হাজারো ভাষা খুঁজে পাও।
অথচ জানোই না,
ঐ সাদা কালো চোখে কতটা মায়া মমতা আছে ভালোবাসার কত ভাষা আছে তাতে!
তুমি তো ভালোবাসার মাঝে সময়ের পরিবর্তন খোঁজো,সময় কাটানোর যন্ত্র বোঝ,যোগ্যতা খোঁজো, শরীরের উপড়ে রুপে ঢাকা সৌন্দর্য দেখো।
কখনো দেখেছো শরীর ভেদ করে হৃদয়ের ভালোবাসা। না দেখোনি কখনো।
ঝড় ওঠার আগে প্রকৃতি টা দেখেছো কখনো?
যেন চুপ চাপ নিঃতব্ধ কখন যে কাল বৈশাখী ঝড় উঠবে কেউ দেখেনি কখনো।
ভালোবাসা টা ঠিক তেমনি কখনো যে মনের সাথে মনের মিলন ঘটে।কখন যে ভেঙে যায় অছিলায় কখন ঢেউ ওঠে মনের গভীরতায় ভেঙে যায় কুল কেউ তার খবর রাখোনি কখনো।
তবুও বলো,ভালোবাসি ভালোবাসি ভালোবাসি।
ছোট্ট একটা শব্দ”ভালো আছি
কতবার’ই তো শুনেছো আমার মুখে।
কখনো দেখেছো, এই ভালো আছি শব্দের
আড়ালে টুকরো টুকরো স্বপ্ন গুলো কে
গুমরে গুমরে মরে যেতে?
তবুও বলো “ভালোবাসি ভালোবাসি ভালোবাসি,
আমৃত্যু কাল ভালোবাসি।