তুমি অনুপমা…
-সত্যদেব পতি
আজি এ প্রভাতে লুপ্ত কিরণে কোন রূপে হেরি জননী?
ঝড় ঝঞ্ঝায় প্রবল বাতাস উথাল পাথাল ধরনী….
এলো বৈশাখে কালবৈশাখী
ঘর ছাড়া হলো কতশত পাখি,
তাণ্ডব চলে গাছ গাছালিতে
প্রণমে করিছে আকুতি…
তুমি বৈশাখ দুরন্ত হয়ে করো ঝঞ্ঝার ভ্রুকুটি।
সকালের রবি লুকায়েছে মুখ
তারে দেখিবারে সবে উৎসুক..
কালো মেঘ ধায় আকাশের গায় মুখভার করে জননী,
অবগুন্ঠনে তুমি এলোকেশী
রনহুঙ্কারে হানো অশনি।
কড় কড় করে বজ্রনিনাদ,
ঐ দুরে কোথা ঘটিল প্রমাদ..
জল থৈ থৈ ভরা মাঠ ঘাট,
বন্ধ রয়েছে সব দোকান পাট।
আমি বাতায়নে নীরব নয়নে দেখি তব আস্ফালন,
তুমি ত্রাহি মাং তুমি পারো সবই তুমিই রুদ্র পবন ।
কখনো তোমার প্রলয় নাচন কখনো ময়াল হেরি,
কখনো আবার রনহুঙ্কারে বাজাও ডঙ্কা রনভেরী…
কভু নীলাকাশে নীল নিলীমায় করেছ গদ্যময়.
কভূ করিয়াছ শ্রাবণ ধারায়
ঊচ্ছল জলাশয়।
তোমার ঊপমা তুমি হয়ে থাকো,
তোমার কাজের কিছু বুঝি নাকো …..
তুমি অনন্য তুমি শান্ত অফুরান তব ক্ষমা,
তুমিই প্রকৃতি পুরুষও তুমি
তুমিই অনুপমা।