আদি আহ্বানে
-রীণা চ্যাটার্জী
মহাকালের গর্ভে লুকিয়ে থাকা যতো মত
খুঁজে ফেরে পথ… তিমির বরণ করে নেয়
গভীরে, আরো গভীরে রক্তনদীর ধারায়।
স্রোতে ভেসে যায় সব…রুধিরা স্রোতস্বিনী
পলি নয়, তলিয়ে যায় শুধু বৃথা অহঙ্কারের
পুতিগন্ধময় কিছু নির্লজ্জ, কপট অনাচার।
কথার বেড়াজাল পেরিয়ে শব্দের মাল্যদানে
ভালোবাসার ঘর বাঁধার সাধ, দিকচক্রবালে
লুন্ঠিত হয়ে গেছে অজান্তে হঠাৎ ঘুর্ণিঝড়ে!
সাথী, শর্ত, কথা দেওয়া-নেওয়া ধীরে ধীরে
মিলিয়ে গেছে পঞ্চ ‘ভূ’তে। অনাদরের ভস্মরা
হয়ে যাবে বিলীন সময়ের পদপৃষ্ঠে অবহেলায়।
ডানা ভারে বেতো বিহঙ্গ, ‘স্বপ্নেরা’ এখন…
কিংবা শেষ নিঃশ্বাসের প্রতীক্ষায় বৃদ্ধ জটায়ু
প্রহরটুকু গুনতে থাকে সত্য বলার আশায়।
শোনাবার দায় নয়, স্বীকৃতির মান্যতা নয়,
অনাদরের ভয়ে নয়, অভিপ্রায় সত্যরা হোক
ভূমিষ্ঠ..খুঁটে, খুঁজে বেছে নিক নিজের পরিচয়।
মেঘনাদ চাই না আর, ছায়াযুদ্ধের ত্রাসে বিধ্বস্ত,
নীহারিকা নিয়েছে আশ্রয় ধোঁয়াশার অবগুণ্ঠনে।
তবু জ্যোৎস্না, জোনাকি জাগায় ভবিষ্যতের আশা
দেবে কি দেখা নব কলেবরে? হবে জ্বলন্ত অগ্নিপিণ্ড
সৃষ্টির আদি আহ্বানে! আবার নতুন করে বাঁচার অঙ্কে
নতুন কক্ষপথে, সৃষ্টি শীতল হবে প্রয়োজনে কালচক্রে?
অসাধারণ একটি কবিতা, দিদিভাই
অসাধারন লিখেছিস, ভীষন ভালো লাগলো…
ধন্যবাদ দিদি
ধন্যবাদ ভাই
খুবই তাৎপর্যপূর্ণ লেখার সম্ভার
ধন্যবাদ বন্ধু