কবিতা- যুগের নীতি

যুগের নীতি
– শংকর হালদার

 

অঙ্কুরোদগমে’র পর অঙ্কুরোদগম নিয়মের ঘূর্ণাবর্তে,
কেবলমাত্র খোলস খানা ফেলে রেখে ।
রহস্যের উম্মোচন রহস্যের প্রতিকৃতি তুলে ধরা।
ফেলে আসা স্মৃতিগুলো স্মৃতির মোড়কে মুড়ে ঘুমিয়ে পড়ে।

নতুনের আগমন নতুনকে সমাহিত করে ।
ঝোড়ে যাওয়া পাতাগুলো ফিরে আসে না
দাবি দাওয়া নিয়ে ।
বরঞ্চ ভূখা ঞ্জানের খাবার যোগায় কয়েক- কালের জন্য ।
কিন্তু, এ-কালের হৃদয়ে ছবি আঁকার ঢের লাইন
এঁকে ও আঁকে না কেউ পড়ে থাকে গরিমার ছাপ ।

চিনবে না আমাকে ছেলের পোষাকে মেয়ে হতে পারি,
দাঁড়িয়ে থাকা মেয়েটি বেপরোয়া হাসিতে চলে গেল চেনা অচেনা ভিড় ঠেলে।
বায়সের হাত ধরে পিকের বংশ লাভ
এমন-ই নীতি অনীতি’তে ভরে ওঠে সমাজ।
সবুজের সবুজাভ ঘিরে নিপীড়নের আন্দোলন।
গোধূলির বুক চিরে ভেসে ওঠে যত দুঃস্বপ্ন,
হেতা সেথা ছড়িয়ে পড়ে বিবেকের ছিন্নভিন্ন রূপ
ঝিমধরা চোখে ঘুম আসে ঘনঘন ।
অশুভ আত্মা শ্বাস নেয় কোন্দরে কোন্দরে
কল্পলোকের ইতিকথা ধরা পড়ে বাস্তব ভূমিতে।

ধর্মের হামাগুড়ি পথে অ-ধর্মের আস্ফালন তরঙ্গ
একে একে ঢেকে দেয় ব্যাপন প্রক্রিয়ায়।
ক্ষণিকের মোহপথে নিরাশার সংকেত রেখা টানে দীর্ঘশ্বাসে,
সময়ের সম্পর্ক ধরা দেয় সম্পর্কের আবর্তনে
কালের নীতির করাল গ্রাস পিষে মারে পদে
পদে
তবুও চাওয়া পাওয়ার প্রত্যাশায় কামড়ে থাকে ভূমি।

Loading

Leave A Comment