বিদায় বেদনা
-অমরেশ কুমার
মাগো! তুমি বিদায় নিলে
অশ্রু জলে ভাসিয়ে দিয়ে
মাগো! তুমি কি কষ্টে ছিলে?
তবে, কেনই গেলে, শেষ কথা না বলে;
মনের মাঝে স্রোতের টানে
স্মৃতি মাখা দিনগুলো সব উতলা হয়ে
করছে আঘাত শান্ত প্রাণে
রাতে-দিনে অশ্রু বিন্দু পড়ছে ঝরে, যাচ্ছে উবে।
হঠাৎ হঠাৎ নিদ্রাকালে
ঘুম ভাঙে মা, তোমার কোলে
চমকে জাগি অন্ধকারে
চেয়ে থাকি বন্ধ দুয়ারে,
ঘুম আসেনা রাত্রিকালে
স্বপ্নে ভাসে,ছায়ায় ঘেরা মায়ার জালে।
চিরকালই অন্তরালে ছিলে তুমি
আজ বুঝেছি, কদর কত মাতৃভূমির।
মাতৃবক্ষে লালন ক্ষেত্র বিচরণের ভূমি
বাল্যকালে ঘরছাড়া মা,
অর্থাদায়ে দূরে থাকা, থাকতে কাছে মানা
চিরকালই দূরেই ছিলাম, আজও আছি দূরে
বুঝিনি তখন, আজ বুঝেছি, দুঃখ কত…
পাওনি কাছে কোলের ছেলে তুমি।
অগ্নি কক্ষে জ্বলছ তুমি, জ্বলছে মোদের বুক
দহন তাপে ঢাকছি মোরা হাতের মাঝে মুখ,
সর্ব শরীর ছাই ভস্ম মাংসপিণ্ড হাতে
রক্ত মাংস মাটিই মিশে..
গঙ্গা জলে অশ্রু মেশে অন্ধকারের রাতে।
শেষ কথা মা হয়নি আমার
হয়নি শোনা, বাবা, আসবি কবে ঘরে?
আজ ঘরে ঘরে খুঁজে বেড়ায়,
সেই হাসি মাখা স্বরে…
“বাবা তুই এসেছিস?”
স্তব্ধ মুখে মাথা নত,চুঁইয়ে পড়ে চোখের জল
যেন ঝরছে টোপে, মাতৃস্নেহের
ভালোবাসার ছল।