কবিতা

কবিতা-“কতটা পথ চললে পথিক?”

“কতটা পথ চললে পথিক?”
-অমরেশ কুমার

 

বাস্তবতা দর্শক আর আমি পথিক,
আমি ছুটছি, আর? সে দেখছে
দিনের শেষে শুধায়
“কতটা পথ চললে পথিক ?”

ক্লান্ত, পরিশ্রান্ত শরীরটাকে
আগলে রাখে আত্মীয় পরিজন
তারাই আবার সযত্নে
প্রাণশক্তি ঢেলে দিয়ে,পথিক করে তোলে।

কত পথ চললে পথিক? কত পথ আছে বাকি?
নাকি, মরীচিকার ন্যয় রাস্তাও দিচ্ছে ফাঁকি?
ধুলো মাখা ধুলোর পথে
কিংবা, রাজপ্রাসাদের ফুটপাতে
দিনের শেষে, বাড়ি ফেরার তাড়া;
সকাল হলে আবার শুরু জীবন যুদ্ধে লড়া।
ভাবছো পথিক চললে তুমি, চললে অনেক পথ
ঘোড়ার গাড়ির সারথি হয়ে চালিয়ে নিয়ে রথ।

হাসছে দেখো বিশ্বকর্মা কর্মস্থলে নেমে
জীবন যুদ্ধে জয়ী হবে হাসির পাত্র জেনে
চলছি দেখো, চলছি আমি,চলছি আপন ভোলা মনে
অলিগলি হেঁটে চলি, আপন মনে আপনা বলি
সহস্রাধিক ভিড়ের মাঝে,
কে বা কাকে রাখে মনের মাঝে?
সবাই ছুটে সবার কাজে, কেউ বা লাজে
কেউবা নতুন রূপে সাজে
সৃষ্টিকর্তা থাকছে সাথে, যাত্রী সেজে আপন বেশে
কেমন ভাবে থাকি মোরা সারথী হয়ে দিনের শেষে
বেলা শেষে, মিষ্টি সুরে কহেন হেসে,
ছুটতে রেসে রথের চাকা, গেল যে বসে;
ব্যঙ্গ শব্দ অট্টহাসি যমরাজের ঘরে
পাপ পূর্ণ বিচার হবে আসছে ধেয়ে কানে
মুখে বাঁশি মিষ্টি হাসি ,
আঘাত লাগে প্রাণে।

হাসছি দেখো, হাসছি আমি
হাসিগুলি মুখের হাসি, মনের হাসি নয়
হৃদয়েতে লালচে রঙের নোনতা জলে
কষ্টগুলো বাড়ছে ভারী বোঝার উপায় নাই;
আবেগপূর্ণ চূর্ণবিচূর্ণ শূন্য মনে
সর্ব শরীর স্পন্দনেতে ঢেউ তুলে
লালচে রঙের তরলগুলো যাত্রা পথের যাত্রী হয়ে
পথ চলতে যাবে ভুলে;
সাঙ্গ হবে ভবলীলা, সাঙ্গ হবে যাত্রাপথ
অন্য পথিক আসবে পথে, বসবে চেপে রথে
শক্ত হাতে ধরে লাগাম ছুটিয়ে যাবে রথ।

আমি! আমি যে পথিক
আমার বিরাম কোথায় ?

Loading

Leave A Comment

You cannot copy content of this page