অন্তিম ভালোবাসাকে…
– ঋজু
একটি তেইশ বছরের মেয়ের পায়ের কাছে
লুটিয়ে পড়তে পারে না কি একবার, একবার ও-
এ গোটা কাব্য ও কাব্যবহির্ভূত প্রেম-সংসার?
আমি চাই, ঘাড় ধরে নিয়ে এসে-
অবশ্য যদি প্রেম-প্রাক্তন-পিরিয়ডস-পরকীয়া ও তার বাইরে,
লিঙ্গ-যোনী-স্তন-দন্ত-দম্ভ-আঁধার ছাড়া
যদি কিছু থাকে অবশিষ্ট দর্শন,ঘাড়
তবে একবার,শুধু একবার
দর্শন করাতে চাই সে নারীর পদযুগল-
আমাদের ঐ প্রেম ও বিদ্রোহাত্মক সমস্ত পোশাক-আশাকের আন্তিগোনে;অন্তমিলে:
দেখবে, ওরা বলবে, তুমি নির্লজ্জ, বেহায়া,
তুমি ওদের চোখে-চোখ সেতু গড়ে, উঠে দাঁড়াবে শিরদাঁড়া টানটান রেখে।
ওরা বলবে, তুমি নষ্ট, ভ্রষ্ট; বলবে বাজারে বিকোনো তুমি,
স্মৃতি-সত্ত্বা ধুয়ে যাবার ভয়ে দীর্ঘকাল অস্নাত,ঘেমো গন্ধের কদাকার তোমার দেহখানি থেকে তুমি ছুড়ে ফেলে দেবে শেষ অন্তর্বস্ত্রটুকু ওদের মাথার কাছে।
আরো ফুঁসে উঠে ওরা জোর গলায় তোমায় বলবে “চোওওওপ”
তেমনই স্টোয়িক নিস্পলক অভিব্যক্তিতে অট্টহাসি হেঁসে উঠবে তুমি চন্ডালিকার মতো।
দেখবে,ঝনঝন শব্দে ভেঙে চুরমার হয়ে যাচ্ছে ওদের রঙ-বেরঙের সার্সি-ব্যাঙ্গ-বিলাস;
কনস্ট্যান্টিনোপল পতনের মতন,ক্রুসেডের ভয়ের মতন।
ওরা অবাক হবে; কপালের ভাঁজগুলো ক্রমশ গাঢ় হতে হতে ঘাম জমবে আরো,
ওরা শাপ-শাপান্ত করবে হেঁকে হেঁকে, “আজ থেকে তোমার হৃৎপিণ্ড অবেধ!”
“Twenty-six men and a girl” গল্পটির মতন মেডুসীয় ভঙ্গিতে দুয়ার খুলে তুমি দাঁড়াবে চৌকাঠে, এক-পা, দু-পা
তুমি এগোবে তোমার নিজস্ব বর্ন-গন্ধ-প্রতীতি-সত্ত্বার অলংকারে, নিরাবরণ হয়ে সাদাকালো মাইম ফুটপাতে;ভিড়ে, নাট্যমঞ্চে, কাব্যগ্রন্থে, মহাকাব্যে ,অসম্ভবে, অসীমে।
ওরা আপ্তবাক্য পাঠের মতন নিজেদের আশ্বাস দেবে, সান্ত্বনা দেবে, “এ কোনো মহাকাব্যে হয়নি,এ অসম্ভব”
তুমি প্রকাশ্য পৃথিবীতে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে চুমু খাবে তোমার পোসাইডন প্রেমিক-ভালোবাসাকে।
ওদের ভিতর যারা “এই ভালোবাসা অসম্ভব”এর অ্যানাসথেসিয়া মেখে মহাকাব্য লিখে এসেছে যুগ যুগ ধরে, এসব দেখে তাদের বুক কাঁপবে দুরদুর করে।
আর যারা অ্যানাসথেটিক হয়ে থেয়েছে হেডিসের কয়েদির মতো,
তারা তোমার মতো প্রেমিক-প্রেমিকা হতে চাইবে।।